বিডি ল নিউজঃ শিগগিরই গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে নিজ বাসভবনে ফিরতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটবে গুলশান কার্যালয়ে তার প্রায় তিন মাসের স্বেচ্ছাবন্দি বা অবস্থানের।
গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গুলশান কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশে গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজটিতে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হওয়ায় খালেদা জিয়া তার কার্যালয় ছেড়ে বাসভবনে ফিরে যাবেন।
এ বিষয়ে জানতে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তারা বলেন, খালেদা জিয়া সাময়িকভাবে তার কার্যালয় ছেড়ে চলে যাবেন। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলে তিনি আবারো কার্যালয়ে ফিরে আসবেন।
তবে এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বাংলামেইলকে বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির আন্দোলনে ভাটা লেগেছে। আর খালেদা জিয়ার কার্যালয় ত্যাগ করার মধ্য দিয়ে আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি ঘটবে। কারণ বিএনপি সরকারের ফাঁদে পা দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে গিয়ে সরকারকে আরো একবার ক্ষমতায় টিকে থাকার বৈধতা দিয়েছে। বিগত তিন মাসে বিএনপি যে আন্দোলন করেছে তার ফলাফল শূন্য।’
খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ছাড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়টি একটু ঘুরিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এখনো অনেক সময় রয়েছে। তাই এখনই সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে কিছু একটা হবে সেটা আপনারা কয়েকদিনের মধ্যে জানতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি রাত থেকে নিজের গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেখান থেকে ৫ জানুয়ারি বের হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। যা এখনো অব্যহত। অবরোধের পাশাপাশি চলছে হরতাল কর্মসূচিও।
এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় শতাধিক প্রাণহানী, বিশ্ব ইজতেমা, মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুও বিএনপির এক দফা দাবির চলমান চিড় ধরাতে পারেনি। সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কার্যালয়েই থাকার ইচ্ছা ছিল তার।
কারণ তিনি মনে করেন, কার্যালয় থেকে বের হলে দলীয় কার্যালয়ের মতো তার রাজনৈতিক কার্যালয়ের অবস্থাও ‘ভূতুড়ে’ হয়ে যেতে পারে। আর সে কারণেই গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষাশহীদদের প্রতি এবং ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নিজ দলের সঙ্গে শহীদ মিনার কিংবা স্মৃতিসৌধে যাননি খালেদা।-হ্যালো টুডে
Discussion about this post