জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা
মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের ২০তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা ১৯৮১ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, স্বশাসিত সংস্থা, মাঠ প্রশাসন, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত ছিলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) বিকল্প গভর্নর ছিলেন।
তিনি আইডিবি’র নির্বাহী পরিচালকও হন।
এর আগে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
মাঠ পর্যায়ে তিনি জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের সচিব এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করেছেন।
এছাড়া বিভিন্ন সময় তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
চাকরির পাশাপাশি লোক-প্রশাসন ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিভিন্ন জার্নাল ও সংবাদপত্রে তার ২০টিরও বেশি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
সাংবাদিকবান্ধব ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা মোশাররাফ হোসাইন বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
ড. সেলিনা আফরোজা
ড. সেলিনা আফরোজা সরকারি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৩ সালের ৩ এপ্রিল। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান গত বছরের ৭ আগস্ট। অবসরে যাবেন বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর)।
সেলিনা আফরোজার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্স-মাস্টার্স করেন।
মাহবুব আহমেদ
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ ১৯৮২ সালে বিসিএসের নিয়মিত পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান পেয়েছেন। ১৯৮৩ সালের ২৭ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। গত বছরের ৬ জুলাই অর্থ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান। অবসরে যাবেন আগামী ২৯ ডিসেম্বর।
সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম
স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম সরকারি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। স্বাস্থ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পান গত বছরের ১০ নভেম্বর। অবসরে যাবেন আগামী ১৯ অক্টোবর।
পরীক্ষিত দত্ত চৌধুরী
প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পান গত ২৩ সেপ্টেম্বর। অবসরে যাবেন আগামী ২১ অক্টোবর। আর সরকারি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৩ সালের ১৯ জুন।
শাহজাহান আলী মোল্লা
সরকারি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৩ সালের ১৯ জুন। সরকারি কর্মকমিশনে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান গত বছরের ৯ নভেম্বর। অবসরে যাবেন আগামী ৩১ অক্টোবর।
আরাস্তু খান
সরকারি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পান গত ২ মার্চ। অবসরে যাবেন আগামী ২০ নভেম্বর।
শফিক আলম মেহেদী
সরকারি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৩ সালের ১৯ জুন। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পান গত বছর ৯ নভেম্বর। অবসরে যাবেন আগামী ৩০ নভেম্বর।
নজরুল ইসলাম খান
সরকারি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৩ সালের ১৯ জুন। শিক্ষাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পান গত বছরের ২ মার্চ। অবসরে যাবেন আগামী ৩০ নভেম্বর।
আব্দুল মান্নান হাওলাদার
সরকারি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮১ সালের ৩০ জানুয়ারি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই কর্মকর্তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে গত বছরের ২ মার্চ। অবসরে যাবেন আগামী ৪ ডিসেম্বর।
মো. নজরুল ইসলাম
সরকারি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান গত ২ মার্চ। অবসরে যাবেন আগামী ১৪ ডিসেম্বর।
Discussion about this post