মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিকে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন সিটিটিসি’র পুলিশ পরির্দশক মনিরুল ইসলাম।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবীব আসামি মোজাম্মেলের জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, গতকাল শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর তুরাগের বাউনিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
গ্রেফতারের পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মোজাম্মেল হুসাইন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল ইসলাম ইনটেলিজেন্স উইং এবং মিডিয়া উইংয়ের প্রধান।
এছাড়া তিনি ‘জঙ্গির সঙ্গে কথোপকথন’ ফেসবুক পেজ, বালাকোট মিডিয়া, আল হিকমাহ মিডিয়া, অনুসন্ধিৎসু মিডিয়ার পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
গ্রেফতার মোজাম্মেল ও তার অন্য সহযোগীরা অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে বলে জানান ডিসি মাসুদুর রহমান।
মোজাম্মেলের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাসুদুর রহমান আরও জানান, অভিজিৎ রায়কে হত্যার জন্য তারা বইমেলার স্থান রেকি করে। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাদের রেকির উপর ভিত্তি করে সংগঠনের অন্য শাখার লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
তাদের সংগঠনের বড় ভাইয়ের (মেজর জিয়া) নির্দেশে এবং তার পরিচালনায় এ হত্যাকাণ্ডে অন্যরা অংশ নেয়। অভিজিতের হত্যাকারীদের ভিডিও ফুটেজে প্রকাশিত আসামিদের মধ্যে মোজাম্মেল অন্যতম।
আটক মোজাম্মেল জুলহাস-তনয়, নিলয় ও দীপন হত্যাকাণ্ডেও অংশ নিয়েছিলেন বলে জানান ডিসি মাসুদুর রহমান।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকা প্রবাসী মুক্তমনা লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে খুন করা হয়।
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Discussion about this post