ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী সংসদে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদোন্নতি হয়েছে পাঁচজন নেতার। এর মধ্যে পাঁচজন সম্পাদকমণ্ডলী থেকে সভাপতিমণ্ডলীর পদ পেয়েছেন। একজন কার্যনির্বাহী সদস্য থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।
শনি ও রোববার (২২ ও ২৩ অক্টোবর) দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিন কার্যনির্বাহী সংসদের আংশিক নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। এ সময় ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী সংসদের ২৩ পদের নেতা নির্বাচন করা হয়। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি এই নির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে কমিটির বাকি সদস্যদের নাম ঘোষণা করবেন।
ঘোষিত কমিটিতে যারা পদোন্নতি পেলেন তারা হলেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান। তারা প্রত্যেকেই সভাপতিমণ্ডলীর পদ পেয়েছেন।
আর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন আব্দুর রহমান।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আশির দশকের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা আব্দুর রহমান ২০০২-এর সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসেন। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তিনি খুলনা বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৯ সালের সম্মেলনে তাকে কার্যনির্বাহী সদস্য করা হয়। ২০১২ সম্মেলনেও তিনি কার্যনির্বাহী সদস্যই থেকে যান। এবারের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন আব্দুর রহমান। এই সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ তিনজন থেকে বাড়িয়ে চারজন করা হয়। এই চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের একজন হলেন আব্দুর রহমান।
এদিকে, পদন্নোতি পেয়ে যারা সভাপতিমণ্ডলীতে গেলেন তাদের মধ্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ দলের কার্যনির্বাহী সংসদের শিক্ষা ও মানবস্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ছিলেন। বিদায়ী কমিটিতেও তিনি এই পদে ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) রাজনীতিরি সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগে যোগদানের আগে তিনি সিপিবির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নুরুল ইসলাম নাহিদ আওয়ামী লীগের গত সরকার এবং বর্তমান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী।
কর্নেল (অব.) ফারুক খান দলের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক পদে পরে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদায়ী কমিটিতে তিনি আন্তর্জাতিক সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামী লীগের গত সরকারের সময় তিনি বাণিজ্য মন্ত্রী ও পরে বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ছিলেন। ড. আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘ দিন দলের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত কমিটিতেও তিনি এই পদে ছিলেন। মহাজোট আমলে ড. রাজ্জাক খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। গত তিন কমিটিতে অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। গত সরকারের সময় তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
এদিকে দলের সভাপতি মণ্ডলী থেকে বাদ পড়েছেন নুহু উল আলম লেনিন ও সতীস চন্দ্র রায়।
Discussion about this post