একে.এম নাজিম, হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, আল্লাহ, রাসুল ও ইসলামের পবিত্র বিধান হজকে কটাক্ষকারী, আত্মস্বীকৃত নাস্তিক লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তি দিয়ে সরকার দেশের সর্বস্তরের মুসলমানদের সাথে প্রতারণা ও ধোকাবাজী করেছে এবং নাস্তিক্যবাদী শক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পবিত্র রমজানে আল্লাহ শয়তানকে বন্দি করে রাখেন আর বর্তমান সরকার শয়তান লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্ত করে দিয়ে নিজে শয়তানের কাতারে শামিল হয়েছে। তারা বলেন, পবিত্র রমজান মাসে মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকে। এ মাসকে টার্গেট করে এর পবিত্র নষ্ট করার জন্য লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এটি বস্তুত ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতকারীদের প্রশ্রয় এবং লালনের ব্যবস্থা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আদালতকে ব্যবহার করে এরূপ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পরিকল্পিত উস্কানি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার নীল নকশা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। হেফাজত নেতৃবৃন্দ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার না করলে শুক্রবার বাদ জুমা সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার জন্য সর্বস্তরের আলিম-ওলামা ও নবীপ্রেমিক জনতার প্রতি আহ্বান জানান।
হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘিœত হোক এটা আমরা কখনও চাই না কিন্তু সরকার একজন আল্লাহদ্রোহী ও নাস্তিককে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে দেশের ষোল কোটি মুসলমানকে বিক্ষুব্ধ করে তুলছে। এরূপ অদূরদর্শী পদক্ষেপের ফলে বিক্ষুব্ধ জনতা কর্তৃক আইন হাতে তুলে নেবার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। তারা বলেন, ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিকদের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলাম জিরো টলারেন্স দেখাবে। ক্ষমতা কারও জন্য চিরস্থায়ী নয়; নাস্তিকদের পক্ষ নিয়ে এদেশে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
নেতৃবৃন্দ লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মুসলমানদের গণদাবি পূরণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় দেশের সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখদের পরামর্শক্রমে লাগাতার হরতালসহ যেকোনও কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে কঠোর হুশিয়ারী দেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী, সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, নায়েবে আমীর মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা শামসুল আলম, মাওলানা আবদুল মালেক হালিম, মাওলানা তাফাজ্জল হোসাইন হবিগঞ্জ, মুফতি মোজাফফর আহমদ, আল্লামা মুফতি আহমদুল্লাহ, মাওলানা আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুরপুর, মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী, মাওলানা সালাহুদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা মুফতি জসিমুদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ ইদরিস, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা সাজেদুর রহমান বি.বাড়িয়া, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুইনুদ্দিন রুহী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা কাতেব ইলিয়াস ওসমানী, মাওলানা মুফতি মাহফুজুল হক ঢাকা, মাওলানা মুহিবুল হক গাছবাড়ি- সিলেট, মাওলানা নুরুল হক কুমিল্লা, মাওলানা ওবাইদুর রহমান মাহবুব বরিশাল, মাওলানা ইয়াকুব বগুড়া, মাওলানা মোশতাক আহমদ খুলনা, মাওলানা মোবারক করিম যশোর, মাওলানা মুস্তাফা আল হোসাইনী নোয়াখালী, মাওলানা আবুল কাসেম ফেনী, মাওলানা আবুল হাসান কক্সবাজার, মাওলানা মোবারকুল্লাহ বি.বাড়িয়া, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী ময়মনসিংহ, মাওলানা আবদুল আউয়াল নারায়নগঞ্জ প্রমুখ।## ৩০.০৬.২০১৫
Discussion about this post