সরকারের আদেশ পেলেই জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও তার দুই সহযোগীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে কারা কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।
আজ বুধবার (২২ মার্চ) ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের যমুনা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্বাহী আদেশ এখনো আমাদের হাতে পৌঁছায়নি। ফাঁসি কার্যকরে কারা কর্তৃপক্ষ সবসময়ই প্রস্তুত রয়েছে।”
তিন আসামির মধ্যে হরতাকুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল রয়েছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। আরেক আসামি দেলোয়ার ওরফে রিপনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
তারা মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেও আপিল বিভাগ গত ১৯ মার্চ তা খারিজ করে দেয়। মঙ্গলবার সেই রায় প্রকাশের পর বুধবার তা আসামিদের পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ।
কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, মুফতি হান্নান ও বিপুল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ইংগিত দিয়েছেন। আর রিপন সিলেট কারাগারের কর্মকর্তাদের বলেছেন, তার সিদ্ধান্ত তিনি পরে জানাবেন।
কারাবিধি অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে তারা ওই আবেদন করতে পারবেন। প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে সরকার তারিখ ঠিক করে দেবে এবং কারা কর্তৃপক্ষ আসামিদের দণ্ড কার্যকর করবে।
সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালের ২১ মে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী গ্রেনেড হামলার মুখে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন নিহত হন।
এছাড়া পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি মারা যান হাসপাতালে। আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন ওই ঘটনায় আহত হন।
ওই ঘটনায় করা মামলার চূড়ান্ত রায়ে আপিল বিভাগ গত বছরের ৭ ডিসেম্বর তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল রাখে।
এ মামলার বাকি দুই আসামি মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে হাই কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। আপিল না করায় তাদের ওই সাজাই বহাল থাকে।
Discussion about this post