বাড়ির মালিক ও ভাড়াটেদের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করেছে আনোয়ারা থানার পুলিশ। বাড়ির মালিক ও ভাড়াটের তথ্য নিতে ফরম বিতরণ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, শিল্প-কারখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণা চালানো হবে।
১৩ মার্চ সীতাকুণ্ডে দুটি ও ৮ মার্চ মিরসরাইয়ে একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
থানা সূত্র জানায়, আনোয়ারায় চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রায়ই দেশি-বিদেশি কর্মকর্তা ও সরকারের পদস্থ ব্যক্তিরা আনোয়ারায় আসেন। এর বাইরে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা লিমিটেড (সিইউএফএল), কর্ণফুলী সার কারখানা লিমিটেড (কাফকো), কোরিয়া রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড), মেরিন একাডেমি এবং সাদ-মুছা শিল্পপার্কের মতো স্থাপনা আছে। কর্মস্থলের সুবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানের লোকজন আনোয়ারায় বসবাস করছেন। তাঁরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে থাকছেন। তাঁদের সবার তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
সূত্র আরও জানায়, আনোয়ারায় আগের তালিকায় চার শতাধিক বাড়ির মালিক ও ভাড়াটের তথ্য আছে। এবারের হালনাগাদে পুরো উপজেলার পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে।
আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) মো. মফিজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আনোয়ারা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। তাই এখানে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক। প্রয়োজনে কঠোর ভূমিকা নেওয়া হবে।
এদিকে জঙ্গি তৎপরতা ও এর নেতিবাচক দিক সম্পর্কে জানাতে উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রচারণায় নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। ১৬ মার্চ উপজেলার রায়পুরের দোভাষী বাজারে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে এবং উপকূলীয় আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে সভা করেছেন আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি মো. মফিজ উদ্দিন ও আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গৌতম বাড়ৈ বলেন, আনোয়ারায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
Discussion about this post