সিলেট সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর ফলে মেয়র আরিফুলের পদে ফিরতে চূড়ান্তভাবে বাধা কাটল এবং তাঁর পদে ফিরতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে আরিফুলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার আবদুল হালিম কাফি। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে ব্যারিস্টার আবদুল হালিম কাফি গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়র আরিফুলের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন। তাই তার দায়িত্বে ফিরতে এখন আর কোন বাধা থাকল না।
এর আগে গত ১৩ মার্চ মেয়র আরিফুলকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে তার করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
সেদিন তার আইনজীবী আবদুল হালিম কাফি জানিয়েছিলেন, আদালত স্থানীয় সরকার বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। একইসঙ্গে তার দায়িত্ব পালনে যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করা হয় সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে মেয়র আরিফুলকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি চার সপ্তাহের রুলও জারি করেছেন আদালত।
কিবরিয়া হত্যা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সম্পূরক অভিযোগপত্র ২০১৪ সালের বছরের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের আদালতে দাখিল করলে আরিফুল হকসহ নতুন করে নয়জন অভিযুক্ত হন। ৩০ ডিসেম্বর আরিফুল হবিগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি আরিফুলকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে চলতি বছর ৪ জানুয়ারি তিনি কারামুক্ত হন।
Discussion about this post