নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘নেপাল ও বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কবলিত প্লেনটিতে কোনো টেকনিক্যাল ত্রুটি ছিল না। ইউএস-বাংলার নিজস্ব প্রতিবেদনেও কোনো কারিগরি ত্রুটির উল্লেখ ছিল না। এছাড়া ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন। তার অবসাদগ্রস্ত হওয়া কিংবা জোর করে পাঠানোর বিষয়টি অবান্তর।’
আজ রবিবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সিইও ইমরান আসিফ।
ইমরান আসিফ বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ছবি প্রকাশ করে। বলা হয়েছে বিমানটি পুরানো ছিল, পাইলটকে জোর করে পাঠানো হয়েছে, তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। তবে এসব তথ্য সঠিক নয়।’
তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন আবিদ দুর্ঘটনা পূর্ববর্তী সর্বশেষ রিপোর্টে ফ্লাইংয়ের জন্য ফিট ছিলেন। তার মেডিকেল রিপোর্ট ছিল ‘ক্লাস ওয়ান’। বাংলাদেশের পাইলটদের মধ্যে ১২ জন ডিসিপি পাইলট আছেন তাদের মধ্যে আবিদ অন্যতম। ইউএস-বাংলার পাইলটের ফ্লাইং মনিটরিং করার জন্য এফডিএম ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। এফডিএম পর্যালোচনার করে ক্যাপ্টেনের কোনো অসঙ্গতি থাকলে ব্রিফ করে। প্রয়োজনে ইন্সট্রাক্টরের মাধ্যমে আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। তবে আবিদের ক্ষেত্রে এটির প্রয়োজন হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী একজন পাইলট দৈনিক ১৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে পারেন। রুল অনুযায়ী তিনি ১১ ঘণ্টা ফ্লাই করতে পারেন। দুর্ঘটনার দিন যদি আবিদ ফ্লাইট নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসতো তাহলে তার ফ্লাইং আওয়ার ৭ ঘণ্টার কম হতো। তার ক্যারিয়ারের মোট ফ্লাইং আওয়ার প্রায় ৬ হাজার ঘণ্টা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সিইও বলেন, এছাড়াও কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি প্রায় ২ বছর ধরে ইউএস-বাংলায় কর্মরত। তিনি ‘আরিরাং এভিয়েশন’ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বৈমানিক, তার ফ্লাইং আওয়ার ছিল ৪০০ ঘণ্টার বেশি।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। তাদের মধ্যে ৩৩ জন বাংলাদেশি, একজন মালদ্বীপ, একজন চাইনিজ এবং নেপালি ৩২ যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ৫১ জনের প্রাণহানি ঘটে।
Discussion about this post