অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে উদ্ধার হওয়া ১৮ জন বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
ঢাকায় কর্মকর্তারা বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশীদের ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু হলো।
এই কাজে বাংলাদেশকে সাহায্য করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ায় সমুদ্রপথে অবৈধ অভিবাসী যারা উদ্ধার হয়েছে, তাদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব যাচাই বাছাইয়ের প্রক্রিয়াও অব্যাহত রয়েছে।
নৌকায় করে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে কয়েকশ বাংলাদেশীকে উদ্ধারের পর দেশটির আচেহ প্রদেশে শরণার্থী শিবিরে রাখা হয়েছে।
তাদের মধ্য থেকে প্রথমে ১৮ জন বাংলাদেশীকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে করে দেশে ফেরত আনা হয়েছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর।
তাদেরই একজন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এলাকার মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন শেষপর্যন্ত দেশে ফিরতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন।
কুড়ি বছর বয়সের এই যুবক মালয়েশিয়ায় চাকরির জন্য দালালকে দু’লাখ টাকা দেয়ার পরও তাকে এক মাসের বেশি সময় সাগরে কাটাতে হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তার সাথে শিবিরে থাকা অনেক বাংলাদেশী এখন দেশের ফেরার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
আইওএম’র মুখপাত্র আসিফ মুনির বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ায় উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার এ পর্যন্ত ২৪৭জনকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
তাদের মধ্যে ১৮জনকে দেশে এনে ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হলো।
এখন ছোট ছোট দলে ভাগ করে অন্যদেরও ফেরত আনা হবে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডে উদ্ধার হওয়া এক হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীর তালিকা নিয়ে বাংলাদেশে যাচাই করে দেখছে।
এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লাগছে বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন। কয়েকদিন আগে মিয়ানমার উপকূলে উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে দেড়শো জনকে বাংলাদেশী চিহ্নিত করে ফেরত আনা হয়েছে।বিবিসি
Discussion about this post