উচ্চ আদালতে এখনও বাংলা ভাষায় রায় লেখার চর্চা না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি কাজী এবাদুল হক। তিনি বলেন, “এখনও আমাদের উচ্চ আদালত থেকে ইংরেজি প্রেম যায়নি।”
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবধর্না অনুষ্ঠানে কাজী এবাদুল হক এ কথা বলেন। তিনি এ বছর (২০১৬) একুশে পদক পান।
বিচারপতি এবাদুল হক বলেন, “আমাদের সংবিধানে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের কথা বলা আছে। কিন্তু ২০১২ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিধি অনুযায়ী ইংরেজিতে রায় লেখার বাধ্যবাধকতা ছিল। দুটো বিষয় পরস্পর সাংঘর্ষিক। আমিই প্রথম ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হাইকোর্টের একটি রায় বাংলায় লিখি। পরে ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের ওই বিধি সংশোধন করে বাংলা অথবা ইংরেজিতে রায় লেখার কথা বলা হয়।”
তিনি উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রভাষা বাংলায় রায় লিখতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানান।
ফেনী সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা (এফএসএফডি) একুশে পদক প্রাপ্তির জন্য বিচারপতি এবাদুল হককে সম্মাননা জানাতে এ সংবধর্না অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী ও ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মীর আহাম্মদকেও সম্মাননা জানানো হয়। সম্প্রতি তারা এসব পদে নির্বাচিত হন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক এরশাদ মজুমদার, কাজী রফিক, শাহীনুল ইসলাম চৌধুরী, জেএসডির নেতা জিয়া খন্দকার, ফেনী সাংবাদিক ফোরামের সহসভাপতি তানভীর আলাদিন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম জাহিদ প্রমুখ।
Discussion about this post