বিডি ল নিউজঃ গত কিছু দিন আগেও বিশ্বকাপের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছিল। অথচ গত ৩ দিন কীসের বিশ্বকাপ কীসের কি? একটাই বিষয়, ফিল হিউজ। তাকে মিস করছে না এমন একজন ক্রিকেট ফ্যান ও নাই। স্বয়ং তার কাপ্তান যখন কেঁদে ফেলে তখন ভক্তকুল কীভাবে চোখের জল ধরে রাখে। ৬৩ আর ৬৪—সংখ্যা দুটো মাইকেল ক্লার্করা ভুলবেন কী করে! শেফিল্ড শিল্ডে ৬৩ রানেই সেদিন ব্যাট করছিলেন ফিল হিউজ। আর ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার পরতেন ৬৪ নম্বর জার্সি! রানের সংখ্যা থেকে ৬৩ বাদ দেওয়ার উপায় নেই। কিন্তু হিউজের সম্মানে জার্সিটা তো তুলে রাখা যায়। তা-ই করার সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ক্লার্ক জানান, ওয়ানেডেতে হিউজের ‘৬৪’ নম্বর জার্সি কেউ গায়ে তুলতে চান না। তাঁরা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে অনুরোধ করেছেন, ওয়ানডেতে হিউজের ৬৪ নম্বর জার্সিটা চিরতরে তুলে রাখতে। ক্রিকেটে অধিনায়ক হওয়ার কিছু ‘যন্ত্রণা’ আছে। এ যন্ত্রণা হতে পারে মধুর, হতে পারে বেদনার। কারণ, দলের যেকেনো ব্যাপারে সবার আগে মোকাবিলা করতে হয় অধিনায়ককেই। সে হোক মাঠ কিংবা মাঠের বাইরের ঘটনা। ক্লার্ককেও আসতে হচ্ছে সবার আগে। বলতে হচ্ছে, সদ্যপ্রয়াত সতীর্থ হিউজকে নিয়ে। আর বলতে গিয়েই ক্লার্কের হৃদয়টা চিরে বেরিয়ে আসছে রাজ্যের হাহাকার, দলা পাকিয়ে ওঠা কান্না। সাংবাদিকদের সামনে ভেঙে পড়ছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। দুচোখে উপচে পড়ছে বাঁধভাঙা জলধারা। সতীর্থ হারানোর বেদনা কোথায় রাখবেন ক্লার্ক? আদৌ কি রাখা যায়?
হিউজকে নিয়ে আর কী বলার আছে ক্লার্কের? কী বলা যায়? অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক কেবল বললেন, ‘একটি দল হিসেবে এ হারানোর বেদনা এ মুহূর্তে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখ, চোখের তারায় ঝিলিক—সবকিছুই পলে পলে অনুভব করব। এ সপ্তাহে পৃথিবী হারাল বিরাট এক মানুষকে। নিঃস্ব হয়ে পড়েছি ওকে হারিয়ে।’
সূত্রঃ প্রথম আলো
Discussion about this post