বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত জাতীয় বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফিসের উপর আরোপিত ৭.৫% কর প্রত্যাহারের দাবীতে চট্রগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে চট্রগ্রামে অবস্থিত সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের পাশাপাশি মানবঅধিকার সংগঠন “সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন”, “বিডি ল সোসাইটি ” সহ সামাজিক সংগঠন “বিবেক ইন্টারন্যাশনাল ” অংশগ্রহনের মাধ্যমে একাত্বতা প্রকাশ করে।
মানববন্ধনের কো-অর্ডিনেটর ও আইআইইউসি আইন বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র এম.আর.ওয়াজেদ চৌধুরী ( রায়হান) এর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন ” এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা আবেদ আলী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন ” এই অযৌক্তিক কর আরোপ উচ্চ শিক্ষায় বিরূপ প্রভাব ফেলবে। যা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশর জন্য একটি আত্বঘাতি সিদ্বান্ত। সামাজিক সংগঠন “বিবেক ইন্টারন্যাশনাল ” এর প্রেসিডেন্ট ফাহাদ এ আলম তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার উপর কর আরোপ শুধু মৌলিক অধিকার লঙ্গন নয় বরং মানবঅধিকারের চরম অবমাননাও বটে। “বিডি ল সোসাইটি ” এর চট্রগ্রাম মহানগর কার্যকরী পরিষদ সদস্য হাসনাইন মাহমুদ সরকারের নিকট প্রশ্ন রেখে বলেন,” শিক্ষা কি পন্য? ছাত্র কি ক্রেতা? দেশ চালানোর জন্য নাকি উচ্চশিক্ষা নিরুৎসাহিত করার জন্য এই কর আরোপ?
এছাড়াও উক্ত মানববন্ধনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ছাত্রনেতা অর্পণ পাল, আলতাপ ,সারিদ, মিজান, জুয়েল, মোশারফ, সাদিয়া জাহান, টুম্পা দাশ সহ মানবঅধিকার কর্মী এস.এম.আজিজ ও বেলায়েত হোসেন।
বক্তারা মানববন্ধন থেকে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানানোর পাশাপাশি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দূর্নীতি রোধ করার জন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সহ শাস্তির ব্যবস্থা, বিভিন্ন প্যাকেজ এবং কর্মশালার মাধ্যমে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নে কার্যকর ব্যাবস্থা নেয়ারও দাবী জানান।
Discussion about this post