পরে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সব যাত্রীকে প্লেন থেকে নামায়। আর তরুণীটি যখন ভাবলেশহীন ও প্রতিবাদহীনভাবে দ্রুত প্লেন থেকে নেমে গেলো, ততক্ষণে জঙ্গী আতঙ্কে অন্য যাত্রীদের আত্মা খাঁচাছাড়া হওয়ার অবস্থা।
সম্পূর্ণ প্লেন ও যাত্রীদের চেক করে তবেই প্লেনটি গন্তব্যে উড়াল দেয় এবং নিরাপদে পৌঁছে, তবে সেই তরুণীকে ছাড়া। জিজ্ঞাসাবাদের পর মেয়েটিকে ভারসাম্যহীন মনে হওয়ায় তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করে তার কাছে তুলে দেয় এয়ারপোর্ট এপিবিএন।
বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পুলক কান্তি বড়ুয়া সেই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। ঘটনার সময়ই উদ্বিগ্ন হয়ে বিষয়টি তিনি তার ফেসবুকে পোস্ট দেন কয়েকটি ছবিসহ। লিখেন, “মাত্র এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের কাছ থেকে দেশ রক্ষা পেল, সেই সাথে আমিও বেঁচে গেলাম। ঘটনা যদি সত্য হত, তবে আজ হতো আমার শেষ দিন। এতো অনিশ্চিত জীবনের কাছে কোন স্বপ্ন কী বেঁচে থাকে?”
বড় কোন ঘটনা না ঘটলেও, ব্যাপারটা ভয়ানক। আর তাই বেশ কিছু প্রশ্নও তুলেছেন তিনি, টিকিট কিংবা বোর্ডিং পাস ছাড়া বিমানবন্দরের এতোগুলো নিরাপত্তার চৌকাঠ মারিয়ে তরুণীটি প্লেনে উঠলো কী করে? কেন বিষয়টা ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গেলো? যখন দেশে ইতালি ও জাপানের দুই নাগরিক হত্যার পর আতঙ্ক বিরাজ করছে, তখন কিভাবে তারা টিকিট ছাড়াই একজনকে তাদের সিকিউরিটি গেট পার হয় প্লেনে উঠতে দিলেন?
এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে ইউএসবাংলা এয়ারলাইনসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও, তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
Discussion about this post