বিডি ল নিউজঃ
যেকোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ চলাকালে ক্রিকেট-জুয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আনাগোনা বেড়ে যায় সর্বত্র। খেলোয়াড়দের আবাসস্থল হোটেল থেকে শুরু করে অনুশীলনের মাঠ। এমনকি অনেক সময় মূল ভেন্যুতেও জুয়াড়িরা অবস্থান নিয়ে খেলোয়াড়দের নানাভাবে প্রলুব্ধ করে থাকে। অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারই এই জুয়াড়িদের দেখা পান হাঁটতে-চলতে। নানা রকম লোভনীয় প্রস্তাবও তাঁরা পান প্রতিনিয়ত। বেশির ভাগ ক্রিকেটারই জুয়াড়িদের ফিরিয়ে দিলেও কোনো এক অজানা শঙ্কায় এ ব্যাপারে সবকিছুই গোপন রাখতে পছন্দ করেন। খুব সম্ভবত খেলোয়াড়দের ভয়, এ ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ করলে নিজেদের সম্মানহানি বা নতুন করে কোনো ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি। অথচ, আইসিসির কিন্তু সুষ্পষ্ট নির্দেশই আছে ক্রিকেট-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার কোনো প্রস্তাব পেলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবকারীর পরিচয় নির্দিষ্ট হটলাইনে জানিয়ে দিতে। তবে দুঃখের বিষয় ক্রিকেটাররা আইসিসির এই নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষেরে পালন করছেন, এমন প্রমাণ কিন্তু খুব বেশি নেই।
এ ব্যাপারে খেলোয়াড়দের উদ্যোগী করতে দারুণ এক ব্যবস্থা নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তারা একটি হটলাইন তৈরি করে বেঁধে দিয়েছে নির্দিষ্ট সময়। এখনো পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার যেসব খেলোয়াড় ক্রিকেট জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েও তা কাউকে না জানিয়ে নিজেদের মধ্যে রেখে দিয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ওই বিশেষ হটলাইনে তা প্রকাশ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর ক্রিকেট-দুর্নীতিসংক্রান্ত কোনো ঘটনায় যদি কোনো অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের নাম আসে, তাহলে তাঁকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
ক্রিকেট দুর্নীতিতে এখনো পর্যন্ত কোনো অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের নাম আসেনি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দুর্নীতি দমন বিভাগের সন্দেহের তালিকাতেও আপাতত কেউ না থাকলেও এ ধরনের হটলাইনটি কেন করা হলো, এ নিয়ে প্রশ্ন কিছুটা প্রশ্নই উঠেছে। জানা গেছে, সম্প্রতি শেন ওয়াটসন ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়কার একটি সন্দেহজনক ঘটনার কথা নিজের আত্মজীবনীতে উল্লেখ করলেও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে তা কখনোই জানাননি। ব্রাড হাডিনও সম্প্রতি এক ফোরামে এমন একটা প্রস্তাবের মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগটা মূলত এ কারণেই। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সংস্থা চায় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা এসব বিষয়ে তাঁদের অবস্থান পরিষ্কার রেখে, বিষয়গুলো তাদের অবহিত করুক।
ক্রিকেটকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও খেলোয়াড়দের দুর্নীতিমুক্ত রাখার এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে, সেটা বলে দেবে সময়ই।
সূত্র: এনডিটিভি অনলাইন।
Discussion about this post