সাংঘাতিক খিদে পেয়েছিল রোমান ওস্ত্রিয়াকভের। হতদরিদ্র উদ্বাস্তু তিনি, খাবার কিনবেন কীভাবে? তাই খাবার চুরি করতে গেলেন। বিধি বাম! ধরা পড়লেন হাতেনাতে। এ ঘটনায় মামলা হলে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ১০০ ইউরো জরিমানা করেন আদালত। কিন্তু ইতালির সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে খালাস দিয়ে বলেছেন, ক্ষুধার্ত অবস্থায় এ রকম ছোটখাটো চুরি কোনো অপরাধ নয়।
ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত ওস্ত্রিয়াকভ ২০১১ সালে জেনোয়া শহরের একটি সুপার মার্কেটে ঢুকে যে পনির ও সসেজ (মাংস দিয়ে তৈরি খাবার) পকেটে ভরে পালাতে চেয়েছিলেন, তার দাম ৪ দশমিক ৭২ মার্কিন ডলার (৪ ইউরোর কিছু বেশি)। একজন ক্রেতা ঘটনাটি দেখে বিক্রয়কর্মীকে জানিয়ে দেন। পালানোর আগেই ওস্ত্রিয়াকভকে থামানো হয়েছিল, তিনি আর ওই খাবার খেতে পারেননি। আর তার ভিত্তিতেই তিনি আপিল করার সুযোগ পান। ইতালির সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বলেন, এটা স্পষ্ট যে অভিযুক্ত ব্যক্তি না খেয়ে আর থাকতে পারছিলেন না। তাই তিনি দ্রুত খাবার সংগ্রহ করতে চেষ্টা করেছিলেন। দরিদ্র হলেও বেঁচে থাকার অধিকার তো আছে মানুষের।
এ ঘটনায় ইতালীয় দৈনিক পত্রিকা কোরিয়ের দেলা সেরা সে দেশের আইনি ব্যবস্থার দুর্বলতাকে ইঙ্গিত করে গতকাল মঙ্গলবার লিখেছে, মাত্র পাঁচ ইউরোর কম দামের জিনিস চুরির একটি মামলায় বিচারের তিনটি ধাপ সম্পন্ন করতে হলো—প্রথমে সাক্ষ্য গ্রহণ ও বিচার, তারপর আপিল এবং শেষে মামলা খারিজ।
Discussion about this post