জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থন ফের পিছিয়ে আগামী ২৬ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করেছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন।
আজ এই মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন।
এখন চলছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ৩২তম ও শেষ সাক্ষী মামলাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক নূর আহমেদকে আসামিপক্ষের জেরা চলছে।
এর আগে বেলা ১১টায় তিনি রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে পৌঁছান। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা জিয়া।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ তাদের চারজনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অপর মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদক।
Discussion about this post