ঘরে বসেই খুলতে পারেন ই-টিআইএন (eTIN)
করদাতাদের আধুনিক ও যুগোপযোগী সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর সেবা ডিজিটাল করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর আওতায় করদাতারা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। ব্যাংকে গিয়ে কর দিতে পারবেন। কর অফিসে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে হবে না।
এ লক্ষ্যে এনবিআর অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল, কর পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি হলে হয়রানিমুক্তভাবে কর দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে করদাতাদের সব ধরনের তথ্যকে ই-ফাইলিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। ফলে তাদের সম্পর্কে সব তথ্য এনবিআর বোতাম টিপেই বের করতে পারবে।
করদাতাদের ডিজিটাল সেবা দিতে শক্তিশালী করা হচ্ছে আইটি ইউনিটকে। ইতোমধ্যে অনলাইনে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু হয়েছে। খুব শিগগিরই চালু হচ্ছে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল। ভ্যাট অনলাইন আগামী বছর থেকে চালু হচ্ছে।
অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড চালুর মাধ্যমে কাস্টমসে গতি এসেছে। ভ্যাট, কাস্টমস ও আয়করকে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে সমন্বয় করা হবে। এর মাধ্যমে একজন করদাতা কর অঞ্চল, কর অফিসে না গিয়ে ঘরে বসেই সব ধরনের সেবা পাবেন।
কীভাবে করবেন ই-টিআইএন
বেশ কিছু নাগরিক সেবা পাওয়ার জন্য ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। কিন্তু অনেকেই টিআইএন সার্টিফিকেট খুলতে ঝামেলা মনে করেন। ঘরে বসে আপনি নিজেই খুলতে পারেন ই-টিআইএন।
করদাতা অনলাইনে টিআইএন নিতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটের e-services থেকে eTIN অপশনে ক্লিক করলে (http://secure.incometax.gov.bd/TINHome) এই হোমপেজের রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করলেই নিবন্ধন ফরম পাওয়া যায়।
প্রথমে নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হবে। এ সময়ে ইচ্ছুক টিআইএনধারীর মুঠোফোনে একটি কোড আসবে। এর পর পেজের ডায়লগ বক্সে কোডটি বসিয়ে অ্যাক্টিভ বাটনে ক্লিক করলেই নতুন টিআইএন নেওয়ার পেজ স্ক্রিনে দৃশ্যমান হবে। পেজের ফরমটি একে একে নির্দেশনা অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
একপর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে। আর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া তথ্যগুলো স্ক্রিনে প্রদশিত হবে। যদি জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে গরমিল থাকে, তবে নতুন টিআইএনের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আর যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছবি সন্নিবেশিত করতে হবে। আর পুরনো টিআইএনধারীদের পুনঃনিবন্ধনের ক্ষেত্রে একই উপায়ে ফরম পূরণ করতে হবে।
সর্বশেষ অনলাইনে আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে টিআইএন সনদ স্বয়ংক্রিয় উপায়ে ঘরে বসেই পাওয়া যাবে। আর কোম্পানি টিআইএনের ক্ষেত্রে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধকের কার্যালয়ে নিবন্ধন থাকতে হবে।
৩১ ধরনের কাজের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে ১২ ডিজিটের টিআইএন নিতে হবে। এ তালিকায় এবার নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসা; মোবাইল ব্যাংকিং; পরিবেশক এজেন্সি; বিভিন্ন ধরনের পরামর্শক, কাটারিং, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, জনবল সরবরাহ, সিকিউরিটি সার্ভিস। এমনকি আমদানি-রপ্তানির বিল অব এন্ট্রি জমা দিতে হলেও টিআইএন লাগবে।
লেখকঃ ল ফর ন্যাশনস, ইমেইলঃ lawfornations.abm@gmail.com মোবাইল: 01842-459590
Discussion about this post