সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে অনেক আইন জড়িত। এগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে আমাদের এগোতে হচ্ছে।’
আজ বুধবার ( ২৭ মে ) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রয়োজন। মন্ত্রিসভায় এখন জরুরি বিষয়গুলো উত্থাপিত হচ্ছে। এটা একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’
এর আগে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিজেল আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সে সময় যেসব কথা হয়েছে, তার আলোকে ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী বিভিন্ন কথা বলেন।
বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের আপত্তি থাকার পরেও বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বহাল থাকবে বলে এ সময় জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তা দেওয়া হয় বাংলাদেশের নিজস্ব আইনে এবং এটা আইনগতভাবে যৌক্তিক। ফলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করার সুযোগ নেই।’
আইনমন্ত্রী জানান, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে আলোকপাত করেন। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সুইডেনের রয়েছে। বিরাজমান মানবাধিকার পরিস্থিতিতে সুইডেনের জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জোহার ফ্রিজেল। তাদের এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান আইনমন্ত্রী।”লেটেস্টবিডিনিউজ
Discussion about this post