ছয়টি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংশোধিত নিষেধাজ্ঞাও আটকে দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
স্থানীয় সময় ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগেই হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের এক ফেডারেল বিচারক ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশকে আটকে দেন। খবর বিসিসির
স্থগিতাদেশের পর ক্ষুব্ধ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দরকার হলে তিনি এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এ লড়বেন।
বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে হাওয়াই ফেডারেল কোর্টের বিচারক ডেরিক ওয়াটসন এই আদেশ দেন।
ডেরিকের স্থগিতাদেশের পর টেনেসির ন্যাশভিলে এক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘বিপদের আভাস পরিষ্কার, আইন পরিষ্কার, আমার নির্বাহী আদেশের প্রয়োজনীয়তা পরিষ্কার’।
তিনি আরও জানন, আমেরিকানদের নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে এই দেশে কে আসবে কে আসবে না তা নিয়ন্ত্রণের কর্তৃত্ব তার রয়েছে।
আদালতের আদেশে বলা হয়, ছয় মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত ওই নির্বাহী আদেশের ফলে পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ওপর অর্থনীতি অনেকাংশেই নির্ভরশীল।
ভ্রমণ বিষয়ক ট্রাম্পের প্রথম নির্বাহী আদেশে সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, ৬ মার্চ জারি করা দ্বিতীয় দফার আদেশে ইরাককে বাদ দেয়া হয়। ওই ছয় দেশ হলো-ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া এবং সোমলিয়া।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, এই দেশগুলোর ওপর ৯০ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও শরণার্থীদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ রাখা হয়েছে ১২০ দিন।
Discussion about this post