পরপর তিন বার ‘তালাক’ বললে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে- এমন বিধানের বৈধতা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভারতীয় নারী সায়েরা বানু। তার সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করবে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। এর মাধ্যমে এই আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
সায়েরা বানু এ বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমি দুই সন্তানের জননী। আমার সন্তানরা এখনো স্বামীর সাথে বসবাস করছে। আমার স্বামী আমাকে ছয় বার গর্ভপাত করতে বাধ্য করেছে। এতে আমার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়েছে। আমি আদালতে দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি কেননা আমার পক্ষে আর সহ্য করা সম্ভব না। আমি এই অবস্থা থেকে মুক্তি চাই।’
গত বছরের অক্টোবরে সায়েরা বানুর স্বামী রেদওয়ান তাকে তালাক নামা দিলে সে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এদিকে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারতের মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড। তারা তিন তালাক যাতে রহিত না হয় সেজন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সায়েরা বানু আরো বলেন, ‘একদিন আসবে যখন ভারতে ‘তিন তালাক’ দেয়া নিষিদ্ধ হবে। সেদিন ভারতের লাখো মুসলিম নারী বিবাহ বিচ্ছেদের এই ভীতি থেকে মুক্তি পাবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে তালাক সম্পর্কিত বিষয়ে পাঁচ সন্তানের মা ৬২ বছর বয়সী শাহবানুর প্রশ্ন নিয়ে বেকায়দায় পড়েছিল তৎকালীন রাজীব গান্ধী সরকার। তখন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত শাহবানুকে দেয়া তার স্বামীর তালাক বহাল রেখেছিল। আবার ত্রিশ বছর পর মাথাচাড়া দিল সেই বিতর্ক।
Discussion about this post