জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় চার্জ পুনর্গঠন চেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বিচারাধীন।এরই মধ্যে মামলার ২৩তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এ অবস্থায় চার্জ পুনর্গঠন চেয়ে মির্জা আব্বাস বিচারিক আদালতে আবেদন করলে তা খারিজ করে দেওয়া হয়।
‘তিনি (মির্জা আব্বাস) হাইকোর্টেও আবেদন করলে বৃহস্পতিবার তা খারিজ হয়ে যায়।’
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই মামলায় প্রায় ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৩২৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
২০০৮ সালের ১৪ মে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এরপর ২০১০ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটি বাতিল করে দেন হাইকোর্ট।
পরে দুদক আপিল করলে ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে দেন। ওই আদেশের পর বিচারিক আদালতে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।
Discussion about this post