ভারতে ধর্ষণ ঠেকাতে সব বাসে বসানো হচ্ছে ‘প্যানিক বাটন’। এ ছাড়া বাসে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা ও জিপিএস ব্যবস্থা। ভারতের পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়কারি সম্প্রতি এই ঘোষণা দিয়েছেন।
প্যানিক বাটনগুলো বসানো হবে বাসের সামনের দরজার ওপর। এই প্যানিক বাটনে চাপ দিলে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। আর সিসিটিভি ও জিপিএস ব্যবস্থার মাধ্যমে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা দেখতে ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারবে।
নিতিন গড়কারি বলেছেন, ‘নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও দুর্ভাগ্যজনক অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সব গণপরিবহনে বাধ্যতামূলকভাবে “প্যানিক বাটন”, সিসিটিভি ক্যামেরা ও জিপিএস স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, আগামী ২ জুন থেকে ভারতের সব গণপরিবহনে এসব যন্ত্র বসানো হবে। ইতিমধ্যে রাজস্থানে ২০টি বাসে এই অ্যালার্ম বসানো হয়েছে।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির একটি চলন্ত বাসে নির্ভয়াকে (ছদ্মনাম) তাঁর পুরুষ বন্ধুর সামনেই চারজন ধর্ষণ করে। মারাত্মকভাবে আহতাবস্থায় চলন্ত বাস থেকে বন্ধুসহ তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিলেও কয়েক দিন পর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে সরকার দ্রুত প্রচলিত আইনে সংশোধন এনে তাদের কঠোর সাজার বন্দোবস্ত করে। জড়িত ছয়জনের একজন কারাগারে আত্মহত্যা করে। বাকিদের মধ্যে চারজনের ফাঁসির দণ্ড হয় এবং অন্যজন অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে তার তিন বছরের সাজা হয়।
সেই ঘটনার পর নারী নিরাপত্তার দাবিতে দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে ভারত সরকার ঘোষণা করেন, ২০১৭ সালের মধ্যে সব মুঠোফোন ব্যবহারকারীকে তাঁদের ফোনে অবশ্যই বিল্ট ইন প্যানিক বাটন স্থাপন করতে হবে। ওই একটি বাটনে চাপ দিলেই জরুরি সেবা পাওয়া যাবে। – দ্য ইনডিপেনডেন্ট
Discussion about this post