স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচির অংশ হিসাবে কুকুরে কামরের আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি সারাদেশে ব্যাপক হারে কুকুরের জলাতঙ্ক প্রতিষোধক টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ ই জুন পাবনা জেলার ছয়টি উপজেলা সদর, বেড়া, সাঁথিয়া, সুজানগর, ঈশ্বরদি ও চাটমোহরে প্রথম পর্বে জলাতঙ্ক প্রতিরোধে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি শেষ হল। ১৪ই জুন হতে শুরু হওয়া ৪ দিন ব্যাপী এ কর্মসূচিতে পাবনা সদর উপজেলার পৌরসভা ও সকল ইউনিয়নে দেখতে পাওয়া ৪৮৭৪টি কুকুরের মধ্যে ৩৬০৯টি কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক টিকাপ্রদান করা হয়। যা শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ কুকুরকে টিকা প্রদান করা হয়। ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে পাবনা সদর উপজেলার প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কাজী আশরাফুল ইসলাম বলেন, একটি নির্দিষ্ট এলাকায় শতকরা ৭০ ভাগ কুকুরকে প্রতিবছর পরপর ৩ বার জলাতঙ্ক প্রতিষোধক টিকাপ্রদান করা হলে ঐ এলাকার কুকুর গুলোতে জলাতঙ্কের বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে। ফলে কুকুরের কামড়ে মানুষের জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস পাবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ হিসাবে ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সকল জেলায় পরপর তিনবার কুকুর টিকাদান করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ হতে জলাতঙ্ক নামক মরণব্যাধি নির্মূল করা সম্ভব”। এছাড়াও সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, সবার সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সদর উপজেলা সহ অন্যান্য ৫টি উপজেলায় সফলভাবে এমডিভি কার্যক্রম সমাপ্ত হওয়ায় পাবনাবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি আশা করেন পাবনা জেলার ন্যায় পরবর্তীতে অন্যান্য জেলায় এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে সকলে মিলে কর্মসূচি সফল করে জলাতঙ্ক মুক্ত দেশ গড়তে সহজ হবে”। উল্লেখ্য, ২২ ই জুন হতে পাবনার বাকী তিন উপজেলা ফরিদপুর, ভাঙ্গুরা ও আটঘরিয়ায় এ কর্মসূচি শুরু হবে।
Discussion about this post