নিয়োগে দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের কারণে পুলিশের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা। তবে এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সম্প্রতি পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, অপরাধী পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় তাৎক্ষণিকভাবে।</p> ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা রাব্বীকে চাঁদার দাবিতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগের মধ্যে দিয়ে আলোচনায় আসে পুলিশের অপরাধ প্রবণতার বিষয়টি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ১৫ জানুয়ারি সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্রকে বেধড়ক পেটায় পুলিশ। একই মাসের শেষ দিন আদাবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।</p> এসব ঘটনাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আর পুলিশের পক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার পুলিশের চাঁদাবাজির ঘটনায় মারা যান চা বিক্রেতা বাবুল। এ বাস্তবতায় প্রশ্ন উঠেছে একের পর এক নিষ্ঠুর ঘটনায় কেন জড়িয়ে যাচ্ছে পুলিশের নাম?</p> মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেন, ‘পুলিশের নিয়োগ, পোস্টিং, প্রশিক্ষণ, পদোন্নতি এগুলোতে যে দুর্নীতির বীজ বপন হয়েছে তা থেকে পুলিশকে নিবৃত্ত করা প্রায় অসম্ভব বলে অনেকে মনে করছেন তিনি। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষমতাসীনদের দ্বারা পুলিশকে ব্যবহার করা। পুলিশের মধ্যে আঞ্চলিকতার বা সম্প্রদায়ের এক ধরণের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।’</p> তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ ও পোস্টিংয়ে অনিয়ম এবং পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাঁরা পুলিশকে কোন ছাড় দিচ্ছেন না।</p> স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটি একটি ডিসিপ্লিনড ফোর্স। এই ফোর্সে যদি অরাজকতা আসে বা আইন ভঙ্গের সংস্কৃতি তৈরি হয় তাহলে আমি এটাকে ধরে রাখতে পারব না- এটা আমরা উপলব্ধি করি। সেজন্য পুলিশের স্বার্থে যাতে সব ধরণের ডিসিপ্লিন বজায় থাকে সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।’</p> নূর খান বলেন, ‘পুলিশের অস্ত্র, গাড়ি, পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার করে যখন ঘটনাগুলো ঘটে এবং টিম যখন ঘটনা ঘটায় তখন এটাকে বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনা বলার সুযোগ কারও নেই।’</p> এদিকে মানবাধিকার কর্মীরা মনে করেন, বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে অপরাধী পুলিশের বিরুদ্ধে নেয়া শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক এবং দৃশ্যমান হওয়া উচিত। (সময় টিভি)</p>
Discussion about this post