আসামি না হয়েও পুলিশের ভুলে সাজা খাটলেন আনিসুর রহমান ওরফে মিলন নামের এক ব্যক্তি। তবে ভুলের ক্ষমা চেয়ে আদালত থেকে পার পেলেন সংশ্লিষ্ট ওই পুলিশ কর্মকর্তা। ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ঘটেছে এ ঘটনা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলার পরোয়ানায় আনিসুর রহমানকে টাঙ্গাইল থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা নাকচ করে তাঁকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামির গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত নথি ঢাকার আদালতে পাঠান।
আনিসুর রহমানের আইনজীবী মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকার আদালত থেকে যে মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ায়, পিতার নাম আবুল হোসেন। আর যে মিলনকে আটক করা হয়েছে, তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলের কাগমারায়, পিতা মৃত আবুল। এখন টাঙ্গাইল থানার সহকারী উপপরিদর্শক জাফিউল ইসলাম বলছেন, আংশিক নামের মিলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১২ মার্চ ঢাকার আদালতে মিলনের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। আটক মিলনের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, ব্যবসায়িক সনদপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। জামিনের আবেদন নাকচ করে আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ ফরিদকে ১১ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। তবে আদালতের নতুন আদেশের পর টাঙ্গাইল কারাগার থেকে গতকাল বুধবার (২২ মার্চ) মুক্তি পায় মিলন।
আইনজীবী মশিউর রহমান আরও বলেন, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর পরই পুলিশ ভুল স্বীকার করে ২১ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে আসামির মুক্তির আদেশের আবেদন করে। আর ভুলের জন্য আদালতে ক্ষমা চায়। আদালত আটক মিলনকে মুক্তির আদেশ দেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, নিরপরাধ মিলনের কারাবাসের দায় কে নেবে?
মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সাভার এলাকা থেকে ২০১১ সালের ১০ জুন রাজু আহমেদ ও মিলনকে পুলিশ মাদকদ্রব্যসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সাভার থানায় এ মামলা করে। ঘটনার সময় গ্রেপ্তার দুই আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। আসামি মিলন জামিনে পলাতক। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর মো. মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
-প্রথম আলো
Discussion about this post