এ ঘটনায় অপহৃত সুমির পিতা সানা উল্লাহ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দিনাজপুর আদালতে মামলা করলে, আদালত চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সুমিকে অপহরণের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকেলে আদালতে সুমির পিতা মামলা দায়ের করেন।
সানা উল্লাহ বলেনন, শনিবার দুপুরে আমার মেয়ে কলেজ থেকে বাড়িতে ফেরার পথে জয়নুল ইসলাম (২৭), আব্দুর রহিম (২৮) ও বোচাগঞ্জ থানার কনেস্টেবল শাহিন হোসেন (৩৫) একটি মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে আমার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানতে পারি, তারা আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে চিরিবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে শুনেছি। তবে আদালত থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের মামলার কাগজপত্রাদি আমার হাতে পৌঁছায়নি। কাগজ হাতে পেলেই দ্রুত কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এদিকে, বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল হক প্রধান কনেস্টেবল শাহিন হোসেন সম্পর্কে জানান, শাহিনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।
Discussion about this post