বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা সংশোধন বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের আগে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার (২৯ মে) সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাব-রেজিস্ট্রারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা ও রিমান্ড সংক্রান্ত ১৬৭ ধারা সংশোধনের বিষয়ে আপিল বিভাগ সম্প্রতি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন। তাই ওই দুই ধারা সংশোধনে উদ্যোগ নেওয়া হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো আমার অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছি, সরকারের অবস্থান এটা। এই মামলাটি খারিজ করার সময় আপিল বিভাগ বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের মাধ্যমে আমি শুনেছি, তারা কিছু মডিফিকেশন (হাইকোর্টের রায় পরিবর্তন, সংশোধন) করবেন। সেই মডিফিকেশন না আসা পর্যন্ত আমরা এখানে কোনো পদক্ষেপ নেবো না’।
বিচারকের ভুলে সাতক্ষীরার এক ব্যক্তির ১৩ বছরের জেল খাটা এবং ভুল আইনে বিচারের কারণে অপর ব্যক্তির ১৪ বছরের জেল খাটার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘দু’টি ঘটনা আমি খবরের কাগজে দেখেছি, সেটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। বিচার বিভাগের ভুল-ত্রুটি হবে না, এমন নিশ্চয়তা তো আমি দিতে পারি না। কারণ এটা তো মানুষ চালিত। কিন্তু চেষ্টা করা হবে, এ রকম ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়’।
এক্ষেত্রে বিচারকদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আইমন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়ই, এটাই স্বাভাবিক। কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিউর (বিভাগীয় ব্যবস্থা) হবে। এবং সেখানে যদি কোনো ফৌজদারি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে মামলা হবে। আর দেওয়ানি অপরাধ হয় সেখানেও মামলা হবে’।
Discussion about this post