হালদার পাড়ে ডিম থেকে রেনু ফোটানোর উৎসব চলছে; ভেজাল রেণু ব্যবসায়ী তৎপর
একে.এম নাজিম, হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ এশিয়ার বিখ্যাত প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর পাড়ে রেনু ফোটানোর উৎসব চলছে। গত সোমবার গভীর রাতে নদী থেকে ডিম আহরনের পর সরকারী হ্যাচারী ও সনাতনী পদ্ধতির মাটি কুয়ায় ডিম ফোটানোর কাজে ব্যস্থ সময় কাটাচ্ছে ডিম আহরন কারীরা। তবে আবহাওয়া গরম থাকায় ডিম আহরনকারীরা শংকার মধ্যে রয়েছে।হালদা নদীর হাটহাজারী এলাকায় মদুনাঘাট হ্যাচারী , শাহ্ মাদারী হ্যাচারী ও মাছুয়া ঘোনা তিনটি সরকারী হ্যাচারী ও ব্যসরকারী গড়দুয়ারা হ্যাচারী এবং মাদার্শা আমতুয়া, অংকুরীঘোনা, কান্তার আলী হাট, নতুনহাট, সিপাইর ঘাট, রামদাশ মুন্সীরহাট, বাড়ীয়াঘোনাসহ এসব এলাকায় ডিম ফোটানোর উৎসব চলছে।
হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার আনুমানিক পানিসহ ৩শত বালতি ডিম আহরন করা হয়েছে। যার পরিমাণ তিন হাজার কেজি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব ডিম থেকে ৫শত কেজি রেনু উদপাদিত হতে পারে। গত বছর ২০১৪ সালে ৫মে হালদা নদীতে মা মাছ প্রথম দপে ৪ হাজার ২শ ৫০ কেজি ডিম পাওয়া যায়। এসব ডিম থেকে উদপাদিত রেনুর পরিমান ছিল ১০৬ কেজি প্রায়। এসব ডিম থেকে উদপাদিত রেনুর পরিমান ছিল ২শ ৫৮ কেজি। এবার ও হালদা নদীতে মা মাছ দ্বিতীয় দফায় ডিম ছাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। যদি আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক এবং অমাবশা পূণিমাতিথিতে মুসলধারে মেঘের গর্জন, পাহাড়ি ঢলের ¯্রােত টিক থাকে। প্রাকৃতিক আবাহাওয়র ও বৃষ্টি যদি ভাল থাকে আগামী দুই এক দিনের মধ্যে রেনু বিক্রি করা হবে বলে ডিম সংগ্রহকারী নুরুল হুদা জানান। প্রতি কেজি রেণুর মূল্য ৫০ হাজার টাকা বিক্রী করা হবে বলে জানা গেছে। ইতি মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে রেণু ক্রেতারা আসতে শুরু করে হালদার পারে ক্রেতা বিক্রেতারা ভীড় জমতে শুরু করে। হালদার রেণু খুব তাড়াতাড়ি বড় হয় বলে এই রেণুর চাহিদাও বেশি। হালদা নদীর পারে রেণু বেচাঁ-কিনার মূহুর্তের মধ্যে চাঁদা-বাজির আশংকা করছে ক্রেতা বিক্রেতারা। দেশের বিভিন্ন অ ল হতে ক্রেতারা টাকা নিয়ে রেণু ক্রয় করার জন্য আসলে হালদার পারে রেণু বিক্রয়ের টাকা লেন-দেন হতে পারে। সেই আশংকায় রেণু ক্রেতা-বিক্রেতারা স্থানীয় প্রসাশনের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন। এদিকে ভেজাল রেণুর ব্যবসাও শুরু করেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও মৎস্যজিবীরা। দীর্ঘ ১২ঘন্টা পর হালদা নদী হতে আহোরীত ডিম হতে রেণু ফুটে এই রেণু ফুটানোর কাজে ডিম সংগ্রহকারীরা দিন-রাত পরিশ্রম করেছে। আগামী পূণিমা-তিথিতে পূণরাই মা মাছ ডিম দেওয়ার প্রহর গুণছে ডিম সংগ্রহকারীরা।
Discussion about this post