জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের কাজ শুরু হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন ও নিষ্পত্তিকালে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির উত্থাপিত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি ছিল ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হউক।’ প্রস্তাবটিতে ১০ জন সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। এই দশজনই অবিলম্বে এটি কার্যকর করার দাবি করেন।
সিদ্ধান্ত প্রস্তাবকারীর বক্তব্য শেষে আইনমন্ত্রী তার ব্যাখা প্রদানকালে বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে এদের বাংলাদেশে কোনো সম্পত্তি রাখার অধিকার নেই। এটা আমি বিশ্বাস করি, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে। এদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি যা পাওয়া যাবে বাজেয়াপ্ত করা হবে।
তিনি বলেন, যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হলো, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন কোনো বিশেষ আইনে নয়, সাধারণ আইনেই এই বিচার হবে। আইনের ধারা বজায় রেখে এদের বিচার হয়েছে। বিচারে যারা দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন, যাদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে অর্থাৎ তারা যখন মারা গেছেন তাদের সকল সম্পদ ওয়ারিশদের হাতে চলে গেছে। এজন্য এই সম্পদ ফিরিয়ে আনতে নতুন আইন লাগবে। যারা পলাতক আছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের জন্য আইনের প্রয়োজন নেই। আমি স্বস্তির সঙ্গে বলছি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদের সম্পত্তি বায়েজাপ্তের বিষয়ে আইন মন্ত্রী বলেন, যিনি বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন, তাকে যারা হত্যা করেছে তাদের সম্পত্তি যেমন তারা রাখতে পারে না। তেমনি বাংলাদেশের জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন আন্দোলন করেছেন তাদের যারা হত্যা করেছে তারাও সম্পত্তি রাখতে পারে না। যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এই সংসদেই আইনটি আনা হবে এবং সংসদ আইনটি গ্রহণ করবে।
Discussion about this post