বিডি ল নিউজঃ
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ বছরে গড়ে মাংস খায় ৩. ৬৩ কেজি। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ খায় গড়ে প্রায় ৫০ দশমিক ০১ কেজি(৫০.১ কেজি)। এছাড়া জাপানের মানুষ বছরে গড়ে যেখানে ডিম খান ৬০০টি, আর বাংলাদেশের মানুষ খান ৪৫ থেকে ৫০টি।
প্রতিদিন আমাদের চাহিদার তুলনায় মুরগির মাংসে ২৬ গ্রাম ও ডিমে ২৩ গ্রাম আমিষ গ্রহণের ঘাটতি রয়েছে। পুষ্টির চাহিদা মেটাতে তাই ডিম ও মাংসের উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে পোল্ট্রি শিল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মসিউর রহমান এসব তথ্য তুলে ধরেন।
বৈঠকের আয়োজনে রয়েছে ওয়ার্ল্ডাস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখা। সঞ্চালনায় আছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম সাত্তার মন্ডল। এসময়ে তিনি জানান, পোল্ট্রি শিল্পে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এ শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. নাজমা শাহীন। এসময়ে উল্লেখ করা হয়, প্রতিটি মানুষের গড়ে কমপক্ষে ১০৪টি ডিম খাওয়া উচিত। আর মাংসের পরিমাণ হওয়া উচিত কমপক্ষে ২২ থেকে ৩০ কেজি হওয়া উচিত।
এসময় তিনি পুষ্টির নানা চিত্র তুলে ধরেন।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রাণিসম্পদ গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. মো. গিয়াস উদ্দিন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি সিএসও ড. জাহাঙ্গীর আলম এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাংলাদেশ অফিসের ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট ড. নিতিশ চন্দ্র দেবনাথ।
Discussion about this post