অ্যাডভোকেট সিরাজ প্রামাণিক
আমাদের ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন’র ধারাগুলো বেশ আন্তর্জাতিক। হয়তো আন্তর্জাতিক হওয়াই বাঞ্চনীয়। কারণ আমরা বিশ্বায়নের কারণে দুনিয়াটাকে গ্লোবাল ভিলেজ বলে ডাকছি। কিন্তু কথা হচ্ছে দেশিয় আইনকে বিশ্বায়িত করতে গিয়ে তাতে যদি খোদ নিজের দেশের নাগরিকদেরই আতংকিত হবার অবকাশ থাকে তাহলে সেটা নিয়ে বাহাস করার দরকার আছে বৈকি।
যাইহোক বর্তমানে সংশোধিত সন্ত্রাস বিরোধী আইনটা বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের সাথে খানিকটা পরষ্পরবিরোধী অবস্থান নেয়। সংবিধান নিজেই যদিও নিজের অনেক ধারার সাথে বিরোধপূর্ণ অবস্থান নেয়। যেমন ধরুন, বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকার বিভাগের ৩৭ নং ধারায় উল্লেখ আছে;
‘জনশৃঙ্খলা ও জনস্বাস্থ্যর স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে এবং নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’
এই বাক্যটাকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করবার সুযোগ আছে। একটা স্বাধীন দেশের মানুষ তাদের নানান অনুষ্ঠানে, জনসভায়, শোভাযাত্রায় এমনকি তারা যদি মনে করে বর্তমান সরকারের দ্বারা তারা যথেষ্ট সেবাপ্রাপ্ত হচ্ছে না, তার বিরুদ্ধেও জনসভায় অংশ নিতে পারে। এটাই গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার। অথচ এই আইনের লাইনে লাইনেই শর্ত আরোপ করা আছে। নিরস্ত্র অবস্থা, শান্তিপূর্ণভাবে, সর্বপোরি আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে। তার মানে রাষ্ট্র চাইলে আইনের দ্বারা, যুক্তি দিয়ে যে কোনো জনসভাকেই সন্ত্রাসবাদী জনসভায় রূপান্তরিত করতে পারে। যদিও সব জনসভাকেই সরকার এরকম মনে করবে এমন ধারণা করার কারণ নাই, কিন্তু যদি সে চায় তাহলে পারে। অথচ আইনটা হতে পারতো,
‘জনশৃঙ্খলা, দেশ ও মানুষের কল্যাণকল্পে জনসভা বা শোভাযাত্রায় নাগরিকগণ যোগদান করিবে। যদি জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় তবে আইন সেটা খতিয়ে দেখবে।’
কথা হচ্ছে আগে জনগণের মৌলিক অধিকার ঘোষণা করা পরে শর্ত দেওয়া অথচ অধিকারের আগেই অজস্র শর্ত যুক্ত করে আইনটা বহন অযোগ্য ভারী, অচল আইনে পরিণত করা হয়েছে যাতে মনে হতে পারে এই ধারার ভেতর কোনো মৌলিক অধিকারই নাই আসলে।
‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা’ শিরোনামে সংবিধানের ৩৯ ধারায় বলা হয়েছে,
১. চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইল। ২. রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমুহের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত অবমাননা, মানহানি ও অপরাধ সংগঠনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা, যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে ক. প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের এবং খ. সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা নিশ্চয়দান করা হইল।
৩৯-এর ১ ও ২ এই দুইটাই বর্তমানে পাশ হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের সাথে সংঘর্ষপূর্ণ। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তার পরিপন্থি হয়ে আছে এই সন্ত্রাসবিরোধী আইন। এই ধারা কেন সন্ত্রাসবিরোধী আইনের পরিপন্থী তা খতিয়ে দেখার আগে দেখা যাক এই আইনে কোন বস্তু সন্ত্রাস হিসাবে মর্যাদা পেয়েছে।
বর্তমান সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬ ধারার খ.এ বলা হচ্ছে ‘অন্য কোনো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত বা উহার সম্পত্তি বিনষ্ট করিবার অভিপ্রায় অনুরূপ কোনো অপরাধ সংঘটন করে বা সংঘটনের প্রচেষ্টা করে বা উক্তরূপ অপরাধ সংঘটনের জন্য প্ররোচিত,ষড়যন্ত্র বা সহায়তা করে’।
গ. এ বলা হচ্ছে, ‘কোন আন্তর্জাতিক সংস্কাকে কোন কার্য করিতে বা করা হইতে বিরত রাখিবার জন্য অনুরূপ কোনো অপরাধ সংঘটন করে বা সংঘটনের প্রচেষ্টা করে বা উক্তরূপ অপরাধ সংঘটনের জন্য প্ররোচিত, ষড়যন্ত্র বা সহায়তা করে’।
চ. এ বলা হচ্ছে, ‘কোন সশস্ত্র সংঘাতময় দ্বন্ধের বৈরি পরিস্থিতিতে (hostilities in a situation of armed conflict) সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন নাই এইরূপ কোন বেসামরিক, কিংবা অন্য কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটাইবার বা মারাত্মক শারীরিক জখম ঘটাইবার অভিপ্রায়ে এইরূপ কোন কার্য করে, যাহার উদ্দেশ্য, উহার প্রকৃতিগত বা ব্যাপ্তির কারণে, কোন জনগোষ্ঠীকে ভীতি প্রদর্শন বা অন্য কোন সরকার বা রাষ্ট্র বা কোন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে কোন কার্য করিতে বা কোন কার্য করা হইতে বিরত থাকিতে বাধ্য করে; তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, সত্তা বা বিদেশী নাগরিক ‘সন্ত্রাসী কার্য’ সংঘটনের অপরাধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
আগেই বলেছিলাম এই সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনেক বেশি আন্তর্জাতিক। শুধু এই ধারাগুলো নয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের দোহাই দিয়ে এরকম আরো অনেক শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সেসবে পরে আসছি। কেন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলার আইনগুলাকে অনেক বেশি আন্তর্জাতিক করে তোলা হচ্ছে? পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায় সাম্রাজ্যবাদ মহাত্মা লেলিন বলেছিলেন। সেই পুঁজিবাদেরই বর্তমান চেহারা কর্পোরেটোক্রেসি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, বহুজাতিক বাণিজ্যসংস্থা ও ঋণদাতা সংস্থাগুলো, দাতা সংস্থাগুলো ও প্রথম বিশ্বের কর্পোরেট হাউস, তাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার গোয়েন্দা সংস্থাগুলার যৌথ আচরণ এই কর্পোরেটোক্রেসি।
অন্যদিকে আমাদের কাছেই রয়েছে সম্প্রসারণবাদী রাষ্ট্র ভারত। বলা যায় একাত্তরের পর থেকেই বাংলাদেশ ভারতের কলোনির মতই। বাংলাদেশে বর্তমানে এমন কোনো পণ্য নাই, যার একটা অলটারনেটিভ ভারতীয় পণ্য নাই। আপনি কাঁচাবাজারে যান, বাংলাদেশি পেয়াজ, ভারতিয় পেয়াজ, বাংলাদেশি রসুন, ভারতিয় রসুন, বাংলাদেশি চিনি, ভারতিয় চিনি। কাপড়ের দোকানে যান যেকোন ধরণের বাংলাদেশি পণ্যেও এটা অলটারনেটিভ ভারতিয় পণ্য পাবেনই। আর আমরাতো টেলিভিশনে দেখি আসলে ভারতিয় চ্যানেলগুলাই। এমনকি বইয়ের দোকানগুলাতেও ভারতিয় বইয়ে ঠাসা। তার ওপর ট্রানজিট, করিডর থেকে শুরু করে ভারত অনেক রকম সুবিধা নেয় বাংলাদেশের কাছ থেকে। অথচ ভারতিয় নদীগুলাতে বাঁধ সৃষ্টি কওে বাংলাদেশের নাব্যতা প্রতিনিয়তই খর্ব করছে তারা, আবার অসময়ে বাঁধ কেটে বন্যার সৃষ্টি করছে। টিপাইমুখ নিয়েতো অনেক আন্দোলন হলো দেশে। এখনো হচ্ছে। এই সব আন্দোলনকারীরাও সন্ত্রাসবাদের আওতায় পড়তে পারেন। ভারত বা আমেরিকাকে খুশী করার জন্য যতই সন্ত্রাসবিরোধী আইন করা হোক জনগণ তার প্রতিরোধ চালিয়ে যাবেই।
উপরোক্ত আলোচনার আলোকে এবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের কয়েকটি ধারা যাচাই করা যাক। ‘অন্য কোনো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘিœত বা উহার সম্পত্তি বিনষ্ট করিবার অভিপ্রায়.. .. অনুরূপ কোনো অপরাধ সংঘটন করে বা সংঘটনের প্রচেষ্টা করে বা উক্তরূপ অপরাধ সংঘটনের জন্য প্ররোচিত,ষড়যন্ত্র বা সহায়তা করে’। গ.এ বলা হচ্ছে ‘কোন আন্তর্জাতিক সংস্কাকে কোন কার্য করিতে বা করা হইতে বিরত রাখিবার জন্য অনুরূপ কোনো অপরাধ সংঘটন করে বা সংঘটনের প্রচেষ্টা করে বা উক্তরূপ অপরাধ সংঘটনের জন্য প্ররোচিত,ষড়যন্ত্র বা সহায়তা করে’।
‘কোন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে কোন কার্য করিতে বা করা হইতে বিরত রাখিবার জন্য.. .. অনুরূপ কোনো অপরাধ সংঘটন করে বা সংঘটনের প্রচেষ্টা করে বা উক্তরূপ অপরাধ সংঘটনের জন্য প্ররোচিত,ষড়যন্ত্র বা সহায়তা করে’। তাহলে তাকে সন্ত্রাসী কর্মকা- হিসাবে অভিহিত করা হবে। বাহ কি অসামান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার গোলামি, কোথায় বাস করি? তাহলে এদেশের সরকার কি এই আন্তর্জাতিক সংস্থার অ্যাজেন্সি নিয়েছে ? কর্পোরেটোক্রেসি এদেশে এসে গ্যাস লুটবে, তেল লুটবে, প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করবে আর তার বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠলে তাদেরকে সন্ত্রাসী বলে হত্যা করার নীলনকশা এই সন্ত্রাসবিরোধী আইন? পুরা আইনটাই গণবিরোধী, এদেশের মানুষকে বা এদেশের সম্পদ আন্তর্জাতিক বেনিয়াদের হাতে তুলে দেবার জন্যই এই পায়তারা। কিন্তু এতে ক্ষমতাসীনদের কী লাভ? এর বিনিময়ে ভরে উঠবে তাদের বিদেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। প্রত্যেকটা বহুজাতিক কোম্পানির দেশিয় অ্যাজেন্ট হবে ক্ষমতাবানদের সন্তান ও পরিবার। জনগণের তেলগ্যাস বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে কমিশন খাবে ক্ষমতাবানরা। তাতো আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি পদ্মাসেতু দুর্নীতিতে।
১৬ নং আইনের ধারা ২১’র ৩নং সংযোজন, কোন সন্ত্রাসী ব্যক্তি বা সত্তা কর্তৃক ব্যবহৃত ফেসবুক, স্কাইপি, টুইটার বা যে কোন ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আলাপ আলোচনা ও কথাবার্তা অথবা তাহাদের অপরাধ সংশ্লিষ্ট স্থির বা ভিডিও চিত্র পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক কোন মামলার তদন্তের স্বার্থে যদি আদালতে উপস্থাপন করা হয়, তাহা হইলে, সাক্ষ্য আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক উপস্থাপিত উক্ত তথ্যাদি আদালতে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে।
সংবিধানের ২৫-এর গ’এ বলা হয়েছে, সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ ও বর্ণবৈষম্যেবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামকে সমর্থন করিবেন।
অবস্থাগতিক দেখে মনে হয় এই সন্ত্রাসবিরোধী আইন সাম্রাজ্যবাদীদের খুশী করার জন্য, ঔপনিবেশিকতাবাদের নবজাগরণের জন্য। বিশ্বজুড়ে ক্ষমতা আসলে পুঁজির সম্প্রসারণ আর মুনাফা আহরনের পথই সুগম করে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলার পবিত্র সংবিধান তার অজস্র ধারা নিয়ে পুত হয়ে পড়ে থাকে রাষ্ট্রের রেহেলে, যার ধারাগুলো উপেক্ষা করবার অধিকার রয়েছে ক্ষমতাবানদের, আর এই সংবিধান পায়ের শেখল হয়ে থাকে শোষিত বঞ্চিত জনগণের।
আর এই আইনটার প্রয়োগ অতি দ্রুত করার জন্য কোনো জটিলতা রাখা হয় নাই। যাকে সরকার সন্ত্রাস মনে করে সে রকম কোনো উপকরণ পেলেই তা দিয়ে মামলা শুরু করা যাবে।
১৬ নম্বরের ৪০ এর ১ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এক নম্বরে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মমর্তা, তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিতক্রমে মামলা রুজু করিবে এবং তদন্ত কার্যক্রম শুরু করিবে।
সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে এটা তাবেদার সরকার তাদের প্রভুদের খুশী করার জন্য করলেও সেটার পার্শপ্রতিক্রিয়া হিসাবে নিজেরাও ব্যবহার শুরু করবে। যেমন যেকোন ক্ষমতাসীন সরকার বিরোধীদলে আন্দোলন দমানোর জন্য এই আইনের ব্যবহার করবে। কোনো সামাজিক গণমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করলেও সেটাও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু ক্ষমতাবানরা একটা জিনিস মনে হয় ভাবে না সরকার তার মেয়াদ শেষে কোনো কারণে যদি আবার ক্ষমতায় আসতে ব্যর্থ হয় যে সরকার আবার ক্ষমতায় আসাবে সেই সরকার তাদের বিরুদ্ধেও এই আইন প্রয়োগ করবে।
কিন্তু কথা হচ্ছে সংবিধানের সাথে এতরকম বিরোধপূর্ণ, স্বাধীন চিন্তা বা ভাবের ওপর এতবড় আঘাত, মানুষের কণ্ঠস্বর স্তব্দ করে দেবার এমন পায়তারা কি জনগণ মেনে নেবে? জনগণতো জানেইনা এই আইনের ভেতর কি আছে। তো জনগণকে যারা জানাবে সেরকম বুদ্ধিজীবীর কি অস্তিত্ব আছে দেশে? আমাদের প্রায় বুদ্ধিজীবীরাইতো কর্পোরেটোক্রেসির বুদ্ধিদাতায় পরিণত হতে চলেছে। যাদের কলম সমঝোতার মাধ্যমেই বন্ধ হয়ে আছে তাদের জন্য তো আইনের কোনো দরকার নাই।
লেখক: বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী, আইন গ্রন্থ প্রণেতা ও সম্পাদক দৈনিক ‘সময়ের দিগন্ত’
Discussion about this post