পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অভিবাসীদের ভারতে বসবাসের আইনগত অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। আসামের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। তবে যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভারতে প্রবেশ করেছে তারাই এ সুবিধা পাবে। এক সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি একথা জানিয়েছে। সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় থেকেই ওই দুই দেশ থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আসামে এ ধরনের অভিবাসীর সংখ্যা অনেক। আগামী বছর আসামের সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে আশা করা যাচ্ছে ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তে লাখ লাখ অভিবাসী যারা বিনা অনুমতিতে ভারতে বসবাস করছেন তাদের ভাগ্য বদল হবে। এদিকে ২৭ এপ্রিল আসাম সফরকালে বিজেপি প্রধান অমিত শাহ বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশি হিন্দু অভিবাসীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আসাম মুভমেন্টের নেতাদের মধ্যে ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশি উদ্বাস্তুদের নিয়ে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ওইসব অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। অভিবাসীদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ এখনও আসামের একটি রাজনৈতিক ইস্যু। বিজেপি সরকারের অভিবাসী নীতি এবং সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্ত অভিবাসীদের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।”লেটেস্টবিডিনিউজ
Discussion about this post