জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বেলা ১১টায় জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ওমর এসে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে ৫শ’জনের ইফতারির জন্য ২৫ হাজার টাকা জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল মন্টুর হাতে তুলে দেন। কিন্তু ইফতারির প্যাকেটে ছিলো না পানি। শুধু জুস, পিঁয়াজু, খেজুর, ছোলাবুট, বেগুনি ও জিলাপি দেওয়া হয়। এতে সর্বমোট খরচ হয় ৪০ টাকা।
ইফতারির প্রতিটি প্যাকেট থেকেও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা নেতারা ১০ টাকা করে কমিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা জানান, সরকারবিরোধী আন্দোলনে জেলায় ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ না নিলেও কয়েকজন নেতিই হয়েছেন প্রতিটি মামলায় আসামি। কিন্তু ইফতার পার্টিতে সুযোগবাদী নেতাদের ভিড়ে অনেক তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মী ইফতার বঞ্চিত হয়ে ফিরে গেছেন। কেউ কেউ ৪/৫টি প্যাকেট নিলে অনেককেই ফিরে যেতে হয় ইফতারি না করে।
বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে ইফতারির কিছুক্ষণ আগে জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম অনুষ্ঠানস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর বলেন, আমি না থাকায় ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তারপরেও ওমর ভাই এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
Discussion about this post