সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভির আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার। মামলা নম্বর ৮১।
কোতয়ালি থানার ওসি মো.জসিম উদ্দিন বলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও আনা হয়েছে। আমরা তদন্তসাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর তানভির আহমেদ সিদ্দিকী বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। একাধিকবার তিনি কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে স্থান পেয়েছিলেন। তবে ২০০৯ সালে বিএনপি বিরোধী দলে যাওয়ার পর চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিতর্কিত মন্তব্যের জের ধরে তানভির দল থেকে বহিস্কৃত হন।
এরপর রাজনীতিতে তানভির নিস্ক্রিয় থাকলেও ইরাদকে সম্প্রতি বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে স্থান দেন বেগম জিয়া।
মামলার বাদি আওয়ামী লীগ নেতা বেদারুল আলম চৌধুরী বলেন, ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী ২৫ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত পেইজে ইংরেজিতে একটি পোস্ট দেন। এর বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায়, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যা সম্ভব নয়, কারণ শেখ হাসিনার চারদিকে ভারতের বিশেষ নিরাপত্তার চাদর রয়েছে। ভারতীয়রা সরাসরি শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিধান করেছে। কারণ শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থরই প্রতিনিধিত্ব করছেন। শেখ হাসিনাকে হত্যা ছাড়া বাংলাদেশের ক্ষমতার ভারসাম্য ও গণতন্ত্র ফেরানো সম্ভব নয়। ’
তাই ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে পেইজে মন্তব্য লিখেন।
এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশের পাশাপাশি তার সম্পর্কেও নিজের পেইজে নানা নানা অশ্লীল কটুক্তি করেন বলে বাদি আরজিতে দাবি করেছেন।
Discussion about this post