মাগুরায় জন্ম নেওয়া ‘বৃদ্ধের মতো’ দেখতে শিশুটি প্রোজেরিয়ায় আক্রান্ত নয়। শিশুটির সমস্যা জেনেটিক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার বাবারও এই সমস্যা রয়েছে।
রবিবার শালিখা উপজেলার ভুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক বিশ্বজিত পাত্রের স্ত্রী পারুল ওই শিশু প্রসব করেন। চিকিৎসক মাসুদুল হক জানান, শিশুটি দেখতে বৃদ্ধের মতো এবং পিঠে প্রচুর লোম। অনেকটা প্রোজেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর মতো হলেও শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। সে মায়ের দুধ পান করছে, সময়মতো ঘুমাচ্ছে, হাত পা নেড়ে খেলাধুলা করছে।
মাগুরা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের কনসালন্টেন ডা. জয়ন্ত কুণ্ডু জানান, শিশুটিকে সোমবার বিকেলে তার কাছে আনা হয়। তার চেহারা প্রোজেরিয়া আক্রান্ত শিশুর মতো হলেও এটি জেনেটিক সমস্যা। তার বাবার চেহারাও বৃদ্ধের মতো। শিশুটি সুস্থ্য আছে বলে জানান তিনি।
জাহান ক্লিনিকে উপস্থিত প্রসূতি পারুলের বড় ভাই বলেন, শিশুটির শারীরিক বৈশিষ্ট্য অনেকটা তার বাবার মতোই। তার বাবার চেহারাতেও বয়সের ছাপ রয়েছে। তিনি সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবনযাপন করছেন। জন্ম নেয়া সন্তানটিও সুস্থ্যভাবে বেড়ে উঠবে বলে তারা আশা করছেন। তিনি জানান, তার বোনের পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়েশিশু আছে। তার চেহারা মায়ের মতো এবং তার কোনও সমস্যা নেই।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের সহকারি অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহেল কাফি বলেন, ‘শিশুটির বাবার বয়স প্রায় চল্লিশ বছর। প্রোজেরিয়ায় আক্রান্ত রোগী সর্বোচ্চ ১৪ বছর বাঁচে। তাই শিশুটির বাবা প্রোজেরিয়া রোগী নন। বাবার কেস স্টাডির আঙ্গিকে শিশুটিও প্রজারিয়া রোগী নয়। তবে শিশুটির সমস্যা নিয়ে উন্নত গবেষণা প্রয়োজন।’
Discussion about this post