আদালতের আদেশ অনুযায়ী লালমনিরহাটের এক ব্যক্তির ভূমি খতিয়ান না খোলায় ভূমি সচিব, জেলা প্রশাসক (ডিসি), সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএও), সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউনিয়নের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত অবমাননার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্য ভূমি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে আবদুল মজিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বাদল। তার সঙ্গে ছিলেন শহিদুল ইসলাম।
তিন মাসের মধ্য নতুন করে লালমনিরহাটের তেলীপাড়া মৌজার ওই সংশ্লিষ্ট ভূমি নতুন করে খতিয়ান খুলতে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা প্রতিপালন না হওয়ার অভিযোগে ভূমির মালিক আবদুল মজিদ সোমবার (১৭ জুলাই) আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে আবেদন করেন।
পরে এম বদরুদ্দোজা বাদল জানান, সরকার উচ্ছেদের জন্য বিবিধ মামলা করেছিল। এর বৈধতা নিয়ে আবদুল মজিদসহ অন্যরা ১৭টি রিট করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৯ সালে ১২ নভেম্বর হাইকোর্ট তিন মাসের মধ্য তেলিপাড়া মৌজার সংশ্লিষ্ট ভূমি নতুন করে তাদের নামে খতিয়ান খুলতে বলেন।
এই রিটে আবেদনকারী ছিলেন ৬৩ জন। ভূমির পরিমাণ ৩৫ দশমিক ৫২ একর। এর মধ্য ১ দশমিক ৬২ একর হচ্ছে আদুল মজিদের। আদালতের ওই নির্দেশনা না পালন হওয়ায় আদালত ওই রুল দেন।
Discussion about this post