আমরা প্রত্যেকেই একজন ভোক্তা।আমরা প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো পণ্য হয় ক্রয় করি অথবা অর্থের বিনিময়ে সেবা গ্রহণ করে থাকি। অর্থনীতির ভাষায়, এই ক্রেতা বা গ্রহীতাকে বলা হয় “ভোক্তা”। এই বিশাল আওতার জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশে প্রণীত হয়েছে “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯”।
এতে বর্ণিত আছে একজন বিক্রতার প্রতি একজন ভোক্তার অধিকারসমূহ, আছে একজন ক্রেতার দায়-দায়িত্বসমূহ। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো, এই আইনটি সম্পর্কে আমাদের অধিকাংশ ভোক্তা সাধারণের নেই নূণ্যতম ধারণা এবং সচেতনতা,উদ্দেশ্য।অধিকার যখন অজানা তখন বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়,যার প্রতিচ্ছবি আমরা প্রতিনিয়তই দেখে আসছি। আর আমরা যখন অধিকার আদায়ে অমনযোগী, তখন অপর প্রান্তে কোন না কোন বিক্রেতা তার নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা অমান্য করার সুযোগ পায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী ব্যর্থ হচ্ছে প্রণীত আইনের আসল লক্ষ্য।
ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে, ল এন্ড পাবলিক ফাউন্ডেশন (গভঃ রেজিঃ নং, এস—৯৭৭৩), অদ্য ২৬ই ডিসেম্বর ২০১৬ ইং তারিখ, সকাল ১০:০০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে, “ভোক্তা অধিকার, শুরু হোক প্রতিকার” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি, অ্যাডভোকেট জনাব এবিএম শাহজাহান আকন্দ (মাসুম)। এরপর মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ রাজধানী ঢাকা বিভিন্ন স্থানে, ভোক্তা-বিক্রেতা ওসেবাদান কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। উক্ত মানববন্ধন এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করেন ল এন্ড পাবলিক ফাউন্ডেশনের সংগঠকবৃন্দ, খাইরুল ইসলাম তাজ, আলী নাসের খান, চৌধুরী তানবীর আহমেদ ছিদ্দিক এবং উদয় তাসমির।
Discussion about this post