বিডি ল নিউজঃ
মধ্যবর্তী নির্বাচন হতেই হবে, অন্যথায় চলমান সঙ্কট আরো বেড়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। শাহদীন মালিক বলেন, আজকে চলমান সঙ্কটের মূল কারণ হলো একটি রায়। বর্তমানে যা চলছে তার পুরোটাই আইনশৃঙ্খলার ব্যাপার নয়। এর মধ্যে ৭০ ভাগই রাজনৈতিক আর ৩০ ভাগ আইনশৃঙ্খলার। তাই শুধুমাত্র বলপ্রয়োগ করে তা সমাধান করা সম্ভব নয়। এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, আজকের সমস্যা পুরোটাই রাজনৈতিক। আর এর সমাধানও রাজনৈতিক ভাবেই করতে হবে। দেশ এখন পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশ সরকারের ভাষায় এবং সরকার পুলিশের ভাষায় কথা বলছে। এভাবে সমস্যার সমাধান হবে না। আসন্ন মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষা কিছুদিন পিছিয়ে দিলে তেমন কোন ক্ষতি হবেনা। আগে মানুষের ভোটের অধিকার ও জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে হাফিজ বলেন, এরজন্য সরকার দায়ী। অনেক স্থানে ছাত্রলীগের ছেলেদের পেট্রোলবোমাসহ আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু তাদেরকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। আর মিডিয়ায় সরকারের নিয়ন্ত্রণ এত বেশি যে, সব কিছু সেভাবে প্রকাশিতও হচ্ছেনা। চলমান আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের উচিত সাহায্য দেওয়া। আর হলমার্ক ও ব্যাংকলুটের টাকা যারা নিয়েছে তারাও এগিয়ে আসতে পারে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, রাজনীতি মানে সহিংসতা না। এভাবে সহিংসতার মাধ্যমে কোন সংলাপ বা দাবি আদায় করা যাবেনা। আমরা সংলাপের কথা এখনো বলছি, ভবিষ্যতেও শান্তিপূর্ণ সংলাপ হতে পারে। তবে তার আগে ধ্বংসাত্বক কর্মসূচি পরিহার করতে হবে। আর এদেশে আবারো এক এগার হতে দেওয়া হবেনা। এছাড়া কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.রওনক জাহান আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, এ সঙ্কট রাজনৈতিক। আর সঙ্কটের যেখানে সূত্রপাত সেখানেই যেতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের লোকজন অনেক উস্কানি মূলক কথা-বার্তা বলছে। সেগুলোও পরিহার করা দরকার। ওয়ালিউর রহমান মিরাজের প্রযোজনায় অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন।
Discussion about this post