জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর মশাল প্রতীক বরাদ্দে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাশের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক নেতৃত্বাধীন জাসদ অংশকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জাতীয় কাউন্সিলে শিরীন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করা নিয়ে জাসদ দুই ভাগ হয়। জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারের পাশাপাশি পাল্টা কমিটি গঠন করেন দলের জ্যেষ্ঠ্য তিন নেতা মইনুদ্দিন খান বাদল, শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান। দলটি বিভক্ত হওয়ার পর প্রতীক কারা পাবেন সেই বিষয়টি সামনে চলে আসে। গত ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ইনু-শিরীনের নেতৃত্বাধীন অংশকে মশাল প্রতীক বরাদ্দ দেয়।
কমিশনের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত ১২ মে কমিশনের আবেদন করেন দলটির আম্বিয়া-নাজমুলের নেতৃত্বাধীন অংশ। কিন্তু রিভিউ পিটিশন নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া।
ঐ আবেদনের পরিক্ষেত্রে গত ২২ জুন হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে ঐ রিভিউ আবদেনটি নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের এই আদেশ পাওয়ার পর গত ১০ আগস্ট নির্বাচন কমিশন প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে তাদের আগের সিদ্ধান্তটি বহাল রাখে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আরেকটি রিট করেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান।
আজ ঐ আবেদনের পক্ষে ডক্টর শাহদীন মালিক শুনানি করেন। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিট আবেদনকারীরা মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো। আর বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে যান। ফলে যারা মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলো তারাই এটির দাবিদার। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে উল্টো।
শুনানি শেষে উপরিউক্ত আদেশ দেন বলে জানান রিটকারীদের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজুর আলম।
Discussion about this post