মানবপাচার মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ টাইব্যুনাল গঠন এবং জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের পাচার প্রতিরোধ কমিটিকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভানেত্রী ফৌজিয়া করিম ফিরোজ।
তিনি বলেন, জাতীয় শিশু আইন ১১, শিশু আইন ও মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ শিশুর সামগ্রিক সুরক্ষা তথা শিশুবান্ধব পরিবেশে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। ওই আইন পাচারকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধান রয়েছে। মানবপাচার প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি রয়েছে । এসব কমিটি মানবপাচার প্রতিরোধে জনগণকে সাথে নিয়ে কমিউনিটি ভিত্তিক কার্যকর সুরক্ষা বলয় গঠনের কথা। কিন্তু কমিটির কোনো ভূমিকা দেখা যায় না ।
সমিতির প্রোগাম ম্যানেজার এরশাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন সমিতির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাজ্জাতুন নেসা লিপি ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের প্রতিটি জেলায় মানবপাচারের প্রবণতা লক্ষ করার মতো। এর মধ্যে ২০টি জেলায় পাচারকারীদের বিচরণ উদ্বেগজনক। তার মধ্যে কক্সবাজারে মানবপাচারকারীদের আধিপত্য বেশি। এ জেলার সাগর পথে পাচারের ক্ষেত্রে রয়েছে ভীতিকর ও করুণ কাহিনি।
দেশের ১৮টি রুটে প্রতিবছর ২০ হাজার নারী ও শিশু পাচারের শিকার হয় উল্লেখ করে বলা হয়, পাচার হওয়া নারীদের ৬০ ভাগ কিশোরী, যাদের বয়স ১২-১৬ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে পতিতালয়ে নারী ও শিশু বেচাকেনা হচ্ছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়। এ থেকে উত্তরণের জন্য কাজ করছে সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সদস্য প্রতিভা দাশ, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালের এপিপি সাকী-ই-কাউসার, অ্যাডভোকেট রুজি দাশ, সমিতির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মালিহা সুলতানা প্রমুখ।
Discussion about this post