একে.এম নাজিম, হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে তৈলবাহী ট্রেনের ওয়াগান দূর্ঘটনা কবলিত হওয়ায় র্ফানেস অয়েল গুলো বিভিন্ন খাল দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে ছড়িয়ে গেছে। জোয়ার-ভাটার পানির সাথে কর্ণফুলী থেকে হালদা নদীতে র্ফানেস অয়েল গুলো হালদায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে হালদা নদীর পানি দূষিত হওয়া ও পাশা-পাশি মা মাছের মারাত্তক ক্ষতি হবে বলে সংক্ষা প্রকাশ করছেন পরিবেশ বাদীরা।
জানা যায়, এশিয়ার বিখ্যাত মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র এই হালদা নদীর সাথে রয়েছে কর্ণফুলী নদীর সংযোগ। প্রতিদিন সকাল-বিকাল জোয়ার-ভাটার পানি আসা যাওয়া করে সংযোগ খালের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদী থেকে হালদা নদীতে। বোয়ালখালীতে র্ফানেস অয়েল বাহী ট্রেন দূর্ঘটনায় তিন বগি প্রায় লক্ষাদিক লিটার তেল পানিতে ভেসে গেছে। এই তেল বোয়ালখালী খাল দিয়ে কর্ণফুলী নদীসহ কয়েক কিলোমিটার এলাকা ছড়িয়ে পড়েছে। তৈল গুলো কর্ণফুলী হয়ে হালদা নদীতে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সা¤¯্রতি হাটহাজারীর ১১ মাইলস্থ ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পিকিং পাওয়ার প্লেন্টের ব্যবহত র্ফানেস অয়েল ও র্বজ্য হালদা নদীতে বৃষ্টির পানির সাথে ভেসে আসার কারণে হালদা নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়ে ছিল। এমন কি মা মাছের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। সে সময় মাছের মড়কসহ বহু জলজ প্রাণী নষ্ট হয়েছে। বর্তমানে বোয়ালখালীতে র্ফানেস অয়েল বাহী ট্রেন দূর্ঘটনায় র্ফানেস গুলো কর্ণফুলী হয়ে যদি হালদা নদীতে প্রবেশ করে তাহলে একদিকে দূষিত হবে নদীর পানি অন্যদিকে মা মাছের জন্য বড় ধরণের সমস্য হতে পারে। নদীর সাথে নদীর সংযোগ হওয়ার কারণে যে কোন প্রকার তৈল গুলো হালদা নদীতে ভেসে আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। এভাবে বার বার হালদা নদীর পানি দূষিত হওয়ার কারণে এই নদীতে মা মাছ গুলোর ডিম ছাড়ার মৌসমে হালদা নদীতে আগের তুলনায় মাছ গুলো তেমন আসে না। হাটহাজারীর নন্দীরহাট এলাকায় প্রতিষ্টিত একটি কারখানার র্বজ্য ও দূষিত পানি বিভিন্ন খালের মাধ্যমে এবং বৃষ্টির পানির সাথে হালদা নদীতে প্রবেশ করছে। যার ফলে হালদা নদীর সেই ৯০ দশকের হালদার মিষ্টি পানিতে মা মাছের ডিম ছাড়ার ইতিহাস এখন আর নেই। দূষিত র্বজ্য বন্ধ করা না গেলে ভবিষ্যত হালদার ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে এমন আশঙ্কা স্থানীয় পরিবেশ বাদীও ডিম সংগ্রহ কারীদের।
Discussion about this post