এম,মিসবাহ, বিয়াবাজার প্রতিনিধি :: বিয়ানিবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের শহিদ টিল্লা-কাজির বাজার এর একমাত্র রাস্তা এই রাস্তার বেহাল দশার কারণে এ রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলা চল করছে যানবাহন শহিদ টিল্লা থেকে শুরু করে কাজির বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির পিচ উঠে খাদে গর্তে পরিণীত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ পথচারী ও যানবাহনকে অন্যকোনো রাস্তা না থাকার কারণে অনাস্থা প্রকাশ করে চালকরা যানবাহন চালাচ্ছে। তাই এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীদেরকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এত দুর্ভোগের পরেও সংস্কারের জন্য কোন বাব্যস্থা গ্রহন করছেনা কর্তৃপক্ষ। এলজি আইডির সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তারা বলেন ভিন্ন কথা এটি পৌরসভার রাস্তা উনারা মেরামত করবেন এই দুপক্ষের টানা হেঁচড়ায় রাস্তাটির মেরামত না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহিদ টিল্লা কাজির বাজার – বড়দেশের হাজার হাজার মানুষ। ঘুঁঙ্গাদিয়া- বড়দেশ সহ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের এই প্রধান রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যেতে হচ্ছে স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের অফিস বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাবসায়ীরা আর যাতায়াতের জন্য দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে সারি সারি লাইন বেধে গন্তব্য স্থলে পৌছানোর জন্য। দীর্ঘ দিন থেকে রাস্তাটির মেরামত না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কে দায়ী করে স্থানীয়রা বলেন তারা সঠিক মতো মেরামতের ভুমিকা পালন করছে না। স্থানীয়রা বলেন, তারা যদি সঠিক ভাবে মেরামতের দায়িত্ব পালন করতো তাহলে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হত না | রাস্তার ছবি তুলতে লাগলে উত্তর বাজার ( ২০৯৭ ) সিএনজি চালক সমিতির আহবায়ক শাহনূর হুসেন বলেন, আপনারা যতই নিউজ ছাপান না কেন কোন লাভ নেই এর আগে বহুবার নিউজ ছাপা হয়েছে তাঁতে কোন লাভ হয়নি, কতৃপক্ষের চোখে পড়েনা আমাদের এই দুর্ভোগ! আর (চোখে) পড়লে আমাদের কে দেয়া হত মিথ্যা আশ্বাস আর এভাবে দিয়ে চলেছেন একের পর এক মিথ্যা সংস্কারের আশা নেতা এবং কতৃপক্ষ। দুর্ভোগের কথা জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে সিএনজি চালক , “রমিজ উদ্দিন বলেন প্রত্যেক দিন সিএনজি চালাইয়া যে গুন রুজি খরি সারা যায়গি গাড়ির খাম আর গাড়ির খাম ফরতেক দিন ১০০০ থেকে ৬০০ টাকা লাগে। পেটের জ্বালায় গাড়ি বন্ধ করতাম পারিনা কষ্ঠ খরি গাড়ি চালাইয়ার ভাত খাওয়ার লাগি” এঁ দুর্ভোগের কথা উল্লেখ্য করে এ অঞ্চলের স্থানীয় অন্য এক জন বলেন আমরা , শিক্ষা মন্ত্রি ,পৌর প্রশাসক , উপজেলা চেয়ারম্যানদের কে বলব আপনারা আমাদের রাস্তার দিকে একটু খেয়াল করেন আমরা আর কতো দুর্ভোগে কষ্টে চলা চল করবো ভোট আসলে তো আমাদের কাছে চলে আসেন ভোট নিতে তখন এলাকায় নেতার অভাব হয় না এখন সবাই যার যার আখের গোছাতে ব্যাস্ত।
এখন কই তারা এখন তো আসলেন না আমাদের কাছে কিভাবে চলা চল করছি তা জানতে আমরা এলাকাবাসী আপনাদের কাছে আবেদন জানাই শিঘ্রই আমাদের রাস্তাটির সংস্কার করে এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তির দাবি করি| এ দুর্ভোগের বিষয় পৌর প্রশাসক তফজ্জল হুসেন কে অবহিত করলে তিনি বলেন পৌরসভার আওতাধীন ১ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কারের জন্য উদ্যেগ নেয়া হবে যাতে করে এলাকার মানুষ সুন্দর মতে চলাচল করতে পারে এ রাস্তাটির সংস্কার দীর্ঘদিন থেকে না হওয়ার কথা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী রমেন্দ্র হোম বলেন প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না আসলে আমরা এ রাস্তার কাজ করবো কিভাবে যদি বরাদ্দ আসে তাহলে আমরা খুব শিঘ্রই এ রাস্তার কাজ করবো।
Discussion about this post