রাজশাহী মহানগরীতে খাদ্য গুদাম থেকে খোলাবাজারে বিক্রির চাল (ওএমএস) পাচারের চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আটক ট্রাক চালক ছাড়াও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা। তবে তাদের নাম এখনই প্রকাশ করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
তবে বাকি আসামিরা সরকারি চাকরিজীবী। আসামিদের ধরতে হবে। নাম প্রকাশ পেলে তারা পালিয়ে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন ওসি আমান উল্লাহ।
এর আগে, খাদ্য গুদাম থেকে সরকারি চাল পাচার করা হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর শালবাগান এলাকা থেকে ১৭৬ বস্তা চালসহ একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। এ সময় ট্রাকের চালক ফিরোজ হোসেনকে আটক করা হয়।
ফিরোজ মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকার আফসার আলী মণ্ডলের ছেলে।
ওসি আরও জানান, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
দুপুরে চালগুলো জব্দ করা হলেও চালানের কাগজের জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। কিন্তু খবর পাঠানোর পরও খাদ্য গুদামের কোনো কর্মকর্তা কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসেন নি।
আবার কোনো ডিলারও চালের মালিকানা দাবি করেননি। তাই চালগুলো পাচার হচ্ছিলো ধরে নিয়েই রাতে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। ট্রাকে মোট ১৭৬টি চালের বস্তা পাওয়া গেছে। প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল আছে।
নির্ধারিত মেয়াদ শেষে রাজশাহীতে এই কর্মসূচিরই চাল জব্দ করা হলো। এ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা রোববার সন্ধ্যায় বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে চালগুলো পরিদর্শন করেছেন। চাল পাচারের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটিরও তদারকি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক আবদুল আজিজ বলেন, যেহেতু চালগুলো সরকারি এবং মামলার বেশিরভাগ আসামিও সরকারি চাকরিজীবী তাই মামলাটি দুদক তদন্ত করবে।
Discussion about this post