সাতক্ষীরায় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হামলা চালিয়ে জানালা ভাঙচুর ও ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলায় ১৫ আইনজীবীর প্রত্যেককে দুই বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে এ মামলার দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।
তবে, রায় ঘোষণার মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে আপিল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্তদের জামিন দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দ্দার আমিরুল ইসলাম।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আইনজীবীরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, অ্যাড. শেখ তোহা কামালউদ্দিন হীরা, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, অ্যাড. আকবর আলী, অ্যাড. অসীম কুমার মণ্ডল, অ্যাড. মোস্তফা আসাদুজ্জামান দিলু, অ্যাড. মিজানুর রহমান বাপ্পি, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম, অ্যাড. আব্দুস সালাম, অ্যাড. সাইফুল ইসলাম, অ্যাড. সোহরাব হোসেন, অ্যাড. আব্দুস সামাদ (৪), অ্যাড. আনিছুজ্জামান আনিছ ও অ্যাড. সোহরাব হোসেন বাবলু।
বেকসুর খালাস পাওয়া আইনজীবীরা হলেন অ্যাড. সরদার সাঈফ ও অ্যাড. সাহেদুজ্জামান সায়েদ।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, সাতক্ষীরা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর আইনজীবীরা সংঘবদ্ধ হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হামলা চালিয়ে জানালা ভাঙচুর ও ত্রাস সৃষ্টি করে। ওইদিনই নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফকরুদ্দীন আহমেদ এ ঘটনায় ১৭ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জন আইনজীবীর প্রত্যেককে ওই সাজা দেন।
তিনি আরও জানান, মামলার রায় ঘোষণার পরপরই সাজাপ্রাপ্ত আইনজীবীরা জেলা জজ আদালতে আপিল করেন। পরে জেলা ও দায়রা জজ আপিল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রত্যেকের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
Discussion about this post