দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ জানান, ৯২ লাখ ১১ হাজার ১৫ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন ও ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশন কার্যালয়ের সাবেক সুপারিটেনডেন্ট শেখ আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ২০১১ সালের ১৬ অক্টোবর নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন উপ পরিচালক আজিজুল হক চার্জশিট দাখিল করেন ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই। আদালতে চার্জ গঠন করা হয় ২০১৪ সালের ৭ মে। ১০জন স্বাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বুধাবার (২৬ আগস্ট) রায় ঘোষণা করে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা অনুযায়ী দায়ের করা এ মামলার রায়ে আসামীকে ২৭(১) ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৭ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। আসামীর স্থাবর অস্থাবর সম্পদ থেকে অর্থদণ্ডের টাকা সংগ্রহ করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২৬(১) ধারায় আসামীকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দুইটি ধারায় প্রদত্ত সাজা একইসঙ্গে কার্যকর হবে বলে আদেশপত্রে উল্লেখ করা হয়। দুইটি সাজা একইসঙ্গে কার্যকর হওয়ায় সেক্ষেত্রে সাজার মেয়াদ হবে ৭ বছর।
এছাড়া একই অভিযোগে দায়ের হওয়া অপর দুইটি মামলায় শেখ আকরাম হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম ও নিলুফার ইয়াসমিনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
Discussion about this post