নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ নামে একটি সংগঠন। একইসঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানদের যারা সরকারি চাকরিতে রয়েছে, তাদের বরখাস্তের দাবি জানানো হয়।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৫ শতাংশ কোটা রয়েছে, যা সংস্কার করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে গত ৮ এপ্রিল আন্দোলন শুরু করে ‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। পরে ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
৫৫ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ শতাংশ পদ তাদের সন্তানসহ উত্তরাধিকারদের জন্য সংরক্ষিত। এই কোটা না কমানোর দাবি জানিয়ে আসছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’।
সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করাসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরসূরিদের সকল চাকরিতে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে এবং স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
সাজ্জাদ বলেন, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখে তা বাস্তবায়নে কমিশন গঠন করতে হবে। প্রিলিমিনারি থেকে কোটা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন বলেন, আন্দোলনে চক্রান্তের মূলে ছিল জামায়াত-শিবির। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্তিযোদ্ধাদের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়। তাদের অনেকে নিজেদেরকে প্রকাশ্যে রাজাকারের বাচ্চা হিসাবে ঘোষণা পর্যন্ত দিয়েছিল।
তিনি বলেন, এরপর থেকে এই রাজাকারের বাচ্চারা যেখানে দাঁড়াবে, তাদেরকে সেখানে প্রতিহত করা হবে। আর সহ্য করা হবে না।
সমাবেশে যোগ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আ ক ম জামাল উদ্দিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী সাইফুদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মেহেদি হাসান প্রমুখ।
Discussion about this post