স্বামী পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। এতে দাম্পত্য জীবন অসহনীয় হয়ে উঠছে। এ অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ভারতের মুম্বাইয়ের এক নারী। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে দায়ের করা অভিযোগে তিনি অবিলম্বে দেশের সব পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগ দায়ের করা ওই নারী একজন সমাজকর্মী হিসেবে বেশ পরিচিত। ওই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে।
আদালতে দায়ের করা অভিযোগে ওই নারী বলেছেন, তাঁর স্বামী একজন শিক্ষিত মানুষ হয়েও যদি পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েন, তাহলে এই পর্নোগ্রাফি কিশোর ও তরুণদের কী পরিমাণ ক্ষতি করছে!
ওই নারী আদালতে বলেন, ‘আমার স্বামী ইন্টারনেটে পর্নো দেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করছেন। সহজলভ্য ইন্টারনেটের কারণে এখন পর্নো দেখাটা খুব সহজ হয়ে গেছে। এ কারণেই আমার স্বামী এতে আসক্ত হয়ে গেছেন। বিকৃত মানসিকতাও তৈরি হয়েছে তাঁর; যা আমার দাম্পত্য জীবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
সমাজকর্মী ওই নারী বলেন, ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান নিয়ে তাঁরা বেশ সুখেই ছিলেন। ২০১৫ সালে সুখে থাকার পরও তাঁর স্বামী পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েন।
সর্বোচ্চ আদালতে ওই নারী বলেন, ‘স্বামীর পর্নোগ্রাফিতে আসক্তির কারণে আমি ও আমার সন্তান অসহায় হয়ে পড়েছি। আমার বিবাহিত জীবনও অসহনীয় হয়ে উঠছে। সমাজকর্মী হিসেবে আমার কাজের ক্ষেত্রেও দেখেছি, সহজলভ্য ইন্টারনেটের কারণে অনেক মানুষই পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এতে দেশের পারিবারিক মূল্যবোধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমার শিক্ষিত স্বামীর ক্ষেত্রেই যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে কল্পনা করুন, এই আসক্তি শিশু-কিশোর ও তরুণদের নিষ্পাপ মনে কী রকম প্রভাব ফেলছে।’
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট চাইল্ড পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেন, প্রযুক্তিগত সমস্যার দোহাই দিয়ে এসব ওয়েবসাইট বন্ধ না করা গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বসে এ সমস্যার সমাধান বের করতেও নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
Discussion about this post