এ.কে.এম নাজিম, হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সেতু ভেঙ্গে খালে পড়া ট্রেনের বগি থেকে র্ফানেস অয়েল এশিয়ার বিখ্যাত রুই জাতীয় মাছের প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে। গত সোমবার হালদা নদীর মদুনাঘাট, মাছুয়াঘোনা ও নাপিতেরঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় পানির সাথে তেল মিশ্রিত ঘাস গুলো সরিয়ে নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। মৎস্য কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ স্থানীয় কিছু জনতার সহযোগিতায় তেল মিশ্রিত পানি থেকে ঘাস ও কচুরি ফেনা সরিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত রবিবার থেকে হালদা নদীতে কিছু কিছু তেলেন নমুনা দেখতে পাই। গতকাল হালদা নদীর তীরবর্তি লোকজন হালদায় র্ফানেস অয়েল গুলো ঘাস ও কচুরি ফেনার সাথে তৈলাত্ত পানি লেগে কালো রং ধারণ করেছে। হালদা নদী হতে ডিম সংগ্রহ কারীরা জানান, হালদা নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ায় হালদার মা মাছের প্রজননে ব্যপক ক্ষতি হতে পারে। হালদা বিষেজ্ঞরা জানান, বৃষ্টির কারণে তেল তেমন ক্ষতি করতে না পারলেও তবে নদীর পানি দূষিত হয়ে রুই, কার্প জাতীয় মাছের মড়ক আসতে পারে পাশা-পাশি জলজ প্রাণী রক্ষা পাবেনা। নদীর জোয়ার-ভাটার টানে বোয়ালখালীর খাল থেকে তেল কর্ণফুলীতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর জোয়ারের সময় কর্ণফুলীর উজানে থাকা হালদায় র্ফানেস অয়েল প্রবেশ করে। হালদা নদীর হালদার চর হয়ে মদুনাঘাট, মাছুয়াঘোনা, নাপিতেরঘাট পর্যন্ত এই তেল দেখা গেছে। তবে নদীর দু পাশের ঘাস নদীতে থাকা কচুরি ফেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আবার পুনরাই জোয়ার-ভাটার পানিতে হালদায় এই তেল প্রবেশ করতে পারে। বোয়ালখালী খালসহ আশ-পাশের খাল ও কর্ণফুলী নদী থেকে এই তেল তুলতে না পারলে ঐ সব এলাকার ও হালদা নদীর মা মাছ ও জলজ প্রাণীসহ পরিবেশের মারাক্ত ক্ষতি হতে পারে। গতকাল রাউজান হাটহাজারী উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত মৎস্য কর্মকতা মোঃ নাজিম উদ্দীন বলেন, ঘাস ও কচুরি ফেনায় তৈলাক্ত পানি লেগেছে সে সব ঘাস ও কচুরি ফেনা প্রায় সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যদি মশুল ধারে বৃষ্টি হয় তাহলে তেলের বেশির ভাগ অংশ কেটে জেতে পারে। তবুও আশঙ্কা হরা হচ্ছে এশিয়া বিখ্যাত প্রাকৃতিক মৎস্য ক্ষেত্র হালদা নদীর মিষ্টি পানি দূষিত হলে মা মাছ এই পানি আহরণ করলে মাছ গুলোর বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে।
উল্লেখ্য যে, গতবছর হালদা নদীতে হাটহাজারীর ১১ মাইলস্থ ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পিকিং পাওয়ারের দূষিত র্ফানেস অয়েল ও র্বজ্য বৃষ্টির পানির ঢলের সাথে মিশিয়ে ছেড়ে দিলে হালদার আশে-পাশের চড়া ও শাখা-প্রশাখা খাল দিয়ে হালদা নদীতে প্রবেশ করে দূষিত করে তুলেছে হালদা নদীর মিষ্টি পানি সে সময় হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার ভরা মৌসুম ছিল। এমকি এই দূষিত র্বজ্যও কারণে বহু ডিম সংগ্রহ কারীর ডিম নষ্ট হওয়ার কথাও শোনা গেছে। এই সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে পরিবেশ অধিদপ্তর ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পিকিং পাওয়ার ষ্টেশনের সংশ্লিষ্ট র্কতৃপক্ষকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে বলে জানা গেছে। প্রতি মৌসুমে হালদা নদী হতে ডিম সংগ্রহ কারী নয়াহাট এলাকার মোঃ নরুলহুদা জানান, মৎস্য প্রজনন ক্ষেত হালদা নদী থেকে র্ফানেস অয়েলের দূষিত তেল যে কোন প্রকার যে কোন ভাবে তুলে নেওয়া প্রয়োজন। না হলে ঐতিহ্য বাহী হালদার পোনা রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
Discussion about this post