নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের ২৫৮ জন মাঠ সহকারীর চাকুরি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আজ রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার বশির আহমেদ ও আল আামীন সরকার।
রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৯ সাল থেকে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ নামে প্রকল্প চালু করা হয়। পরবর্তীতে পল্লী এলাকার দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সঞ্চয় ও অর্জিত অর্থ লেনদেন ও রক্ষণাবেক্ষণ, ঋণ ও অগ্রিম প্রদান এবং বিনিয়োগের জন্য `পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’ নামে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লক্ষে ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন, ২০১৪’ পাস করা হয়।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৮ ই জুলাই আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এ লক্ষ্যে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক চাকরি প্রবিধানমালা-২০১৫ চূড়ান্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। পরবর্তীতে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে কর্মরত মাঠ সহকারীদের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তর করে ২০১৬ সালের ২৮ জুন ও ২০১৬ সালের ৩ আগষ্ট পৃথক দুটি অফিস আদেশ জারি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।
তিনি জানান, উক্ত আদেশের পর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থান্তারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ভুক্তভোগী মাঠ সহকারীরা। ওই রুলের চুড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাদের পক্ষে এ রায় দেন।’
রিটকারীরা হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার মনিরুজ্জামান, শাহিন আলম, জহিরুলইসলাম, আলমগীর হোসাইন, ফরিদুল ইসলাম ও উল্লাপাড়া উপজেলার গোলাম মোস্তফা, কৃঞ্চ চন্দ্র, নজরুল ইসলামসহ একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে কর্মরত ২৫৮ জন মাঠ সহকারী।
Discussion about this post